হিন্দমোটরের অ্যাম্বাসাডর কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৪ সালের মে-মাসে। সেই সময় প্রায় ৬০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক অবসরে বাধ্য করেন কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের বার বার আবেদনেও কর্ণপাত করেননি সি কে বিড়লা পরিচালিত ওই কারখানার কর্তারা। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের হয়ে চন্দননগর আইনি সহায়তা কেন্দ্রের দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে লড়াইয়ে শ্রমদফতর ও প্রভিডেন্ট দফতর নড়েচড়ে বসে। বর্তমানে সেখানকার শ্রমিকেরা তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন পর্যায়ক্রমে।
ইতিমধ্যেই হিন্দমোটর কর্তৃপক্ষ একটি বিদেশি সংস্থার কাছে তাঁদের অ্যাম্বাসাডার গাড়ির ব্র্যান্ডই বেচে দিয়েছেন। তাতেই কারখানার উত্তরপাড়া ইউনিটের শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ধরেই নিয়েছিলেন তাঁরা বকেয়া আর পাবেন না। এর আগেই অবশ্য কারখানার সিআইটিইউ শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা চন্দনননগর আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্ট শ্রমিকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে হিন্দমোটরের উত্তরপাড়ার ইউনিটের সমস্ত সম্পত্তি কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকেরা তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন। আইনি সহায়তা কেন্দ্রের কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই জয়ে এখন শ্রমিকেরা বিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন যে সঠিক পথে আন্দোলনে মালিকের বিরুদ্ধে জেতা যায়।’’
চন্দননগরের গোন্দলপাড়া চটকলের শ্রমিকেরা ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করলেও চটকল কর্তৃপক্ষ তাঁদের গ্র্যাচুইটির টাকা দিচ্ছিলেন না। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, চটকলের পুরনো মালিক তাঁদের ওই বকেয়া টাকা দিয়ে গিয়েছেন মিল হস্তন্তরের আগেই। গত ৫ বছর ধরে শ্রমিকদের হয়ে আইনি লড়াই লড়ে চন্দননগরের আইনি সহায়তা কেন্দ্র। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করেন জেলাশাসক। শেষ পর্যন্ত চটকল কর্তৃপক্ষ মানতে বাধ্য হন শ্রমিকেরা বকেয়া পাননি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শ্রমিকেরা এখন তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন।