বধূর মৃত্যু, নার্সিংহোমে ভাঙচুর চণ্ডীতলায়

চিকিৎসার গাফিলতিতে বধূর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর করল জনতা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলায়। মৃতার নাম মারুফা বেগম (৩৫)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৯
Share:

চিকিৎসার গাফিলতিতে বধূর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর করল জনতা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলায়। মৃতার নাম মারুফা বেগম (৩৫)। বাড়ি চণ্ডীতলার বাকসা মোল্লাপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

Advertisement

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, টিউমার ও অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের জন্য মারুফাকে চণ্ডীতলার গরলগাছার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় গত সোমবার। চিকিৎসকরা জানান, এক সঙ্গেই টিউমার ও অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অস্ত্রোপচার করা হয়। মৃতার স্বামী রহমত মোল্লার দাবি, ‘‘চিকিৎসক শুধু টিউমার কেটে বাদ দেন। অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন করেননি। জিজ্ঞাসা করলে বলা হয়, ভুলবশত এমনটা হয়েছে। মাস দু’য়েক পরে ফের একটি ছোট অপারেশন করা হবে অ্যাপেনডিক্সের। এতে কোনও সমস্যা হবে না।’’

বধূর পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের পরেই মারুফার রক্তচাপ কমে যায়। শরীরে অন্য সমস্যা দেখা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে শ্যামবাজারের একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করতে বলা হয়। মৃতার এক আত্মীয় জানান, চিকিৎসদের কথা মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্যামবাজারের ওই নার্সিংহোমে মারুফাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, মারুফার অবস্থা সঙ্কটজনক। শনিবার সকাল সওয়া ছ’টা নাগাদ তিনি মারা যান।

Advertisement

বধূর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সকাল ১০টা নাগাদ কয়েকশো গ্রামবাসী চণ্ডীতলার ওই নার্সিংহোমে জড়ো হন। শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ ওঠে, অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের ভুলেই ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এর পরেই পরে বিক্ষোভকারীরা থানায় যান। সেখানেও উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতার স্বামী রহমত বলেন, ‘‘ভুল চিকিৎসার জন্যই স্ত্রীকে মরতে হ‌ল। তবে নার্সিংহোমে ভাঙচুর আমরা করিনি। কে করেছে বলতে পারব না।’’ চেষ্টা করেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন