ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ডেঙ্গি যুদ্ধে নামল হাওড়া পুরসভা

২০১৬ সালে হাওড়ায় ডেঙ্গির থাবায় কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল পুরসভাকে। এর পরেই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু কর্মসূচি নেয় পুরসভা। বাড়ানো হয় পুর স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৬
Share:

পথে: ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারে হাওড়া পুরসভা। নিজস্ব চিত্র

রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এ বছর ডেঙ্গি যুদ্ধে নেমে পড়ল হাওড়া পুরসভা। বুধবার বিকেলের ওই শোভাযাত্রায় পুরকর্তাদের সঙ্গে পা মেলালেন টলিউডের নায়িকা থেকে অতীতের খেলোয়াড়েরা। হাওড়া পুরকর্তাদের বক্তব্য, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সারা বছর ধরেই সতর্কতা এবং নজরদারি চালানো প্রয়োজন। সে ভাবেই গত বছর হাওড়া পুর এলাকায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল। তাই শোভাযাত্রা করে মশাবাহিত রোগ নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করা শুরু করল পুরসভা।

Advertisement

২০১৬ সালে হাওড়ায় ডেঙ্গির থাবায় কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল পুরসভাকে। এর পরেই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু কর্মসূচি নেয় পুরসভা। বাড়ানো হয় পুর স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা। ৬৬টি ওয়ার্ডের প্রতি বাড়িতে বছরভর নজরদারি চালাতে আড়াই হাজার অস্থায়ী মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়া হয়। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভেক্টর কন্ট্রোল মজদুর নিয়োগের পাশাপাশি প্রতি এলাকাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে এক জন সুপারভাইজারের নেতৃত্বে পাঁচটি দল করা হয়। তৈরি করা হয় ছ’টি র‌্যাপিড অ্যাকশন দল। যারা ডেঙ্গির খবর পেলেই লার্ভা ধ্বংস করতে পৌঁছে যায়। পাশাপাশি জমা জল পরিষ্কার করা, লার্ভিসাইড তেল স্প্রে করার কাজ করে তারা।

হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১৬ সালে ডেঙ্গি আক্রান্ত দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল। সেখানে গত বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩৯ জন। কারওর মৃত্যু হয়নি। প্রথম থেকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি নেওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছিল।’’

Advertisement

হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে বছরভর নজরদারি প্রয়োজন। এ বারও সেটাই করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement