প্রতীকী ছবি।
ব্যক্তি মালিকানার একটি পুকুরের পাড়ের গাছ কেটে জোর করে রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের সালেপুর ১ পঞ্চায়েতের লালুরচক গ্রামের।
কুলপুকুর নামে ওই পুকুরের দুই মালিক বঙ্কুবিহারী কুণ্ডু এবং মনসাপ্রসাদ কুণ্ডুর অভিযোগ, “আমাদের অনুমতি নেওয়া দূরের কথা, জোর করে গাছ কাটা এবং রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করায় মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।” এ ব্যাপারে তাঁরা ব্লক প্রশাসন, পুলিশ-সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
সালেপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান গুণধর খাঁড়ার দাবি, ‘‘পরিবারের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই কাজটি গত বছর বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনায় আনা হয়েছিল। এখন তাঁরা কেন বাধা দিচ্ছেন জানি না। এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’ আরামবাগের বিডিও মহম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, “বিষয়টা খতিয়ে দেখে হচ্ছে। আপাতত রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’
পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে শ্মশানে যাওয়ার জন্য পুকুরটির দক্ষিণপাড় দিয়ে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ২৫০ ফুট একটি রাস্তা তৈরি শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। সেই কাজে পুকুর পাড়ের একটি তাল গাছ এবং ৪টি সোনাঝুরি গাছ কেটে ফেলা হয়। গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রয়োজনে ওই পুকুরেরই উত্তরপাড় এবং পশ্চিমপাড় দিয়ে পৃথক দুটি রাস্তা তৈরি হয়েছে বাম আমলে। বঙ্কুবিহারীবাবুর ছেলে বিভাসবাবুর অভিযোগ, “বাম আমলে তৃণমূল করার অভিযোগে জোর করে পুকুরের দু’টি পাড় দখল করে রাস্তা করা হয়। এবার তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী সুফল চানকের অনুগামী হওয়ার ‘অপরাধে’ বিরুদ্ধ গোষ্ঠী গুণধর খাঁড়ার লোকজন জবরদস্তি তাঁদের পুকুরপাড় দখল করে রাস্তা করছে। বাধা দিলে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’’
পঞ্চায়েতেরই সদস্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সুফল চানক বলেন, “কাজটি বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল না। বেআইনিভাবে কাজটা করতে চাইছেন প্রধান। তাছাড়া শ্মশানে যাওয়ার জন্য পুকুরের পাড় ও পাশের জমির কিছুটা নিয়ে রাস্তা করা যেত। আসলে প্রতিহিংসাতেই ওই পরিবারকে বিপদে ফেলতে চাইছেন প্রধান।’’