গাদিয়াড়ায় চাপান-উতোর

দু’বছর আগের সিদ্ধান্ত মতো পরিবাহণ দফতর গাদিয়াড়া ফেরিঘাটে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৩০টি লাইফ-জ্যাকেট দেয়।

Advertisement

নুরুল আবসার 

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০১:১০
Share:

নষ্ট: পড়ে রয়েছে জ্যাকেট। নিজস্ব চিত্র

জেটির এক ধারে জমা হয়ে আছে লাইফ-জ্যাকেট। লঞ্চে চলছে যাত্রী পারাপার।

Advertisement

হুগলির মতো হাওড়ার বিভিন্ন ফেরিঘাটেও ছবিটা একই। লাইফ-জ্যাকেট পরতে যাত্রীদের অনীহা। শ্যামপুরের গাদিয়াড়া ফেরিঘাটে এ নিয়ে যাত্রী ও ঘাটকর্মীদের মধ্যে চাপান-উতোরও কম নয়।

দু’বছর আগের সিদ্ধান্ত মতো পরিবাহণ দফতর গাদিয়াড়া ফেরিঘাটে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৩০টি লাইফ-জ্যাকেট দেয়। এই জেটি পরিচালনা করে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। তারাই গাদিয়াড়া থেকে গেঁওখালি ও নুরপুর রুটে লঞ্চ চালায়। প্রতিদিন দুহাজারেরও বেশি যাত্রী রূপনারায়ণ এবং হুগলি নদী পারাপার করেন। কিন্তু শুক্রবার দেখা গেল, দুই রুটের লঞ্চ-যাত্রীদের গায়ে কোনও জ্যাকেট নেই।

Advertisement

নুরপুর যাওয়ার লঞ্চে বসেছিলেন শক্তিপদ পাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কেউ জ্যাকেট পরার কথা বলেননি।’’ তাপস চক্রবর্তী নামে আর এক যাত্রী বলেন, ‘‘আমি মাঝেমধ্যে যাতায়াত করি। কখনও জ্যাকেট পরার কথা কাউকে বলতে শুনিনি। নিজেরও ওটা পরার কথা মনে হয়নি।’’

জলপথ পরিবহণ সমিতির কর্মীদের পাল্টা দাবি, সব যাত্রীকেই ওই জ্যাকেট পরার কথা বলা হয়। কিন্তু একই জ্যাকেট অনেককে পরতে হয় বলে বেশিরভাগ যাত্রী নাক সিঁটকান। জ্যাকেট পরতে চান না। অনেকে আবার গাদিয়াড়া থেকে জ্যাকেট পরে নুরপুরে গিয়ে আর ফেরত দেন না। ফলে, জ্যাকেট কমে গিয়েছে। সমিতির জেটিঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উত্তম রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মাত্র ৩০টি জ্যাকেটে কাজ হয় না। আরও জ্যাকেট চেয়েছি। তবে, যাত্রী সুরক্ষার জন্য পাওয়া রবারের বয়ার বেশির ভাগই লঞ্চে তোলা হয়েছে। যাতে কেউ জলে পড়ে গেলে সেগুলি ধরে উদ্ধার পেতে পারেন। কিছু হয়তো ঘাটে পড়ে রয়েছে।’’

গাদিয়াড়াকে নিয়ে হাওড়া জেলায় মোট ২৮টি ঘাট রয়েছে। গাদিয়াড়া, বাউড়িয়া, উলুবেড়িয়া আর নাজিরগঞ্জ ছাড়া বাকি ঘাটগুলিতে ভুটভুটি চলে। সেইসব ঘাটেও জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে সর্বত্র এক অবস্থা। কোথাও যাত্রীরা জ্যাকেট পরেন না। হাওড়া জেলা পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, কেন যাত্রীরা জ্যাকেট পরছেন না, তদন্ত করে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন