শুরু: আলো জ্বালিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন। ছবি: দীপঙ্কর দে
দেশের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ চালিত হিমঘর তৈরি হল সিঙ্গুরে। জাপানের আর্থিক সহায়তায় সিঙ্গুরের তাপসী মালিক কিসান মান্ডিতে সোমবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। অনুষ্ঠানে ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত কাজুয়া নাকাজো, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
আনাজ সংরক্ষণের সুযোগ না মেলার অভিযোগ চাষিদের দীর্ঘদিনের। অর্থমন্ত্রীর দাবি, সেই সমস্যা মেটাতেই জাপানের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের। তিনি জানান, মোট ৩০ টন আনাজ এখানে রাখা যাবে। উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়া ও শিলিগুড়িতেও শীঘ্রই শুরু হবে হিমঘর তৈরির কাজ।
সিঙ্গুরের মাটি আনাজ চাষের জন্য উপযুক্ত। শীতের আনাজ ফলেও প্রচুর। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে চাষি দাম পান না। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চাষি আনাজ নিয়ে হাটে যান। যে টাটকা আনাজ সকালে দশ টাকা কিলো, বিকেলেই তা শুকিয়ে যায়। দু’টাকা দামেও বিকোয় না। এরই সুযোগ নেয় ফড়েরা। তারা চাষির কাছ থেকে কম দামে আনাজ কিনে চালান করে দেয়। চাষি ভাল ফসল ফলিয়েও দাম পান না। এই ধরনের হিমঘর তৈরি হলে রাজ্যে ফড়েরাজও খতম হবে।’’
এ দিনের এই অনুষ্ঠানে ঘিরে সিঙ্গুরে ছিল সাজ সাজ রব। রাজ্যের কৃষিবিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমাদের দফতরের সুফল বাংলার আউটলেটের মাধ্যমে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহারে চাষির ফসল নষ্ট হবে না। সংরক্ষণ করা যাবে নামমাত্র খরচে।’’ কাওয়াসাকি রিকুসো ট্রান্সপোর্টেশনের কর্ণধার কেইচি হিগুচির বাংলা বক্তৃতায় শ্রোতারা মুগ্ধ হন। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাউল গান পরিবেশন করেন জাপানি
বাউল কাজুমা।