নির্দেশ: সেতুতে টাঙানো হয়েছে ফ্লেক্স। —নিজস্ব চিত্র।
ফের সঙ্কটে ঈশ্বরগুপ্ত সেতু। নদিয়ার কল্যাণীর সঙ্গে হুগলির মগরার যোগাযোগের একমাত্র সেতুর একটি স্তম্ভে ফের চির ধরেছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। নতুন করে চালু হওয়ার তিন মাসের মাথায় ফের এই সেতুর উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল।
আগামী এক মাস এই সেতুর উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছে হগলি হাইওয়ে ডিভিশন। পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পরে পুরোপুরি মেরামত করার পরেও কেন ফের সেতুর স্তম্ভে চির ধরল, তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এমন ঘটনায় সেতুর ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এই সেতুর কল্যাণীর দিকের ২ এবং ৩ নম্বর স্তম্ভের উপরের গার্ডারে ফাটল ধরা পড়ে। সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় তার পরেই। বেশ কিছু দিন পরে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য সেতুর একটি দিক চালু করা হয়। মেরামতির পরে গত মে মাসে সেতু ফের চালু করা হয়।
হুগলির সঙ্গে নদিয়ার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম গঙ্গার উপরের এই সেতু। হুগলি এবং বর্ধমান থেকে আনাজ আসে কল্যাণী এবং কাঁচরাপাড়া এলাকায়। ব্যারাকপুর এবং কল্যাণী শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলির কাঁচামালও আসে এই সেতু দিয়েই। ছোট গাড়ি চলায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে না হলেও পন্যবাহী লরির চলাচল বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে ২ নম্বর স্তম্ভেই ফের ত্রুটি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞরা তা পরীক্ষা করে দেখেন। শুক্রবার সকাল থেকেই সেতুর উপর দিয়ে ২০ টনের বেশি ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ দিন সকাল থেকেই মগরার বোরোপাড়া এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড করে ভারি যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। মালবোঝাই বড় লরিগুলিকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিদর্শনে আসা সেতু বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘‘সেতুটির মেরামতির কাজ চলছে। এই মুহূর্তে সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা খুবই কম। এই অবস্থায় ভারি যান চলাচল করলে সেতুর ধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। সেই জন্যই ভারি যান চলাচল বন্ধ করা হল।’’ ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ফের ভারি যানবাহন চলাচল শুরু হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।