জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিয়েন বসতো আশুবাবুর বাড়ি

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইংরেজ আমলে কলকাতায় ট্রামের ঘোড়াকে দানা খাওয়ানো ও কলকাতা পুরসভার রাস্তায় আলো জ্বালানোর বরাত পেয়েছিলেন বেগড়ির আশুতোষ ঘোষ। উপার্জনের টাকা দিয়ে তিনি বেগড়িতে জমিদারি পত্তন করেন। একইসঙ্গে কলকাতার জানবাজারেও অনেক সম্পত্তি কেনেন।

Advertisement

নুরুল আবসার

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

প্রাচীন: পুজো চলছে দেবীর। নিজস্ব চিত্র

১৩৮ বছর ধরে জাঁকজমকের সঙ্গে চলছে হাওড়ার ডোমজুড়ের বেগড়ির আশুবাবুর বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইংরেজ আমলে কলকাতায় ট্রামের ঘোড়াকে দানা খাওয়ানো ও কলকাতা পুরসভার রাস্তায় আলো জ্বালানোর বরাত পেয়েছিলেন বেগড়ির আশুতোষ ঘোষ। উপার্জনের টাকা দিয়ে তিনি বেগড়িতে জমিদারি পত্তন করেন। একইসঙ্গে কলকাতার জানবাজারেও অনেক সম্পত্তি কেনেন। সেই আয়ের টাকা দিয়েই তিনি বেগড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন। শুরুর দিকে এই পুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। গোটা গ্রামের মানুষ এই পুজো দেখতে আসতেন। পুজোর সময়ে ভিয়েন বসিয়ে রকমারি মিষ্টি তৈরি করানো হতো। আশুবাবু নিজের হাতে সেই মিষ্টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিলি করতেন।

আশুবাবুর পরে পুজোর জাঁক কমেছে। তবে সেটি এখন আশুবাবুর পুজো নামেই পরিচিত। পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন আশুবাবুর উত্তরাধিকারীরা। পরিবারের অন্যতম বংশধর অনুজিৎ ঘোষের কথায়, ‘‘জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে পুরো গ্রাম একটি পরিবার হিসেবে থাকে।’’

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জানবাজারের বাড়ি ভাড়া থেকে যা আয় হয় সেই দিয়েই নবমীতে পুজো হয়। রীতি মেনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিন দিনের পুজো হয়েছে রবিবার। আজ, সোমবার দশমীতে ভাসান। এ দিন সন্ধ্যায় হবে পংক্তিভোজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন