Murder

তরুণীকে খুন করে বিছানায় চাদর চাপা

পুলিশের অনুমান, কোদাল দিয়ে মাথায় মেরে খুন করে আততায়ী ঘর থেকে বেরিয়ে যায়

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

নিহত: সুস্মিতা সরকার।

নিজের ঘরে চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে ছিল মেয়েটি। চাদর সরিয়ে আঁতকে উঠল তার ভাই।

Advertisement

মাথা-মুখ রক্তে মাখামাখি। ধড়ে প্রাণ নেই। কাছেই পড়ে আছে একটি রক্তমাখা কোদাল। কে যেন ঘরে ঢুকে তাকে খুন করে দিয়ে গিয়েছে!

মাত্র উনিশ বছর বয়স রানাঘাটের পায়রাডাঙার সুস্মিতা সরকার ওরফে মণির। হুগলির শেওড়াফুলির এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সে বিয়ে টেকেনি। নতুন গোপালপুরে বাপের বাড়িতেই ফিরে এসেছিল সে। পাড়াপড়শিরা বলছেন, তার বন্ধু ছিল অনেক। সারাক্ষণ ফোন আসত-যেত। কিন্তু কে তাকে খুন করে গেল, তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। এক যুবককে রানাঘাট থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

মণিকে খুন হয়ে পড়ে থাকতে প্রথম দেখে তার ভাই, বছর বারোর সৌরভ। সোমবার বিকেলে সে মাঠে খেলতে গিয়েছিল। তাদের বাবা, লটারি বিক্রেতা গোপাল সরকার ডাক্তারের কাছে ছানি পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন। মা বীণা গিয়েছিলেন আয়ার কাজে। সৌরভের জবানিতে, “দিদি তখন ঘরে একাই ছিল। খেলা শেষ করে সন্ধেয় বাড়ি ফিরি। ‘দিদি’ বলে ডাক দিয়েও সাড়া পাইনি। ঘরে ঢুকে দেখি, মুখ ঢাকা দিয়ে শুয়ে রয়েছে। ঢাকা সরাতেই দেখি রক্ত!”

রাতেই পুলিশ মৃতদেহটি রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মণির মা বীণা ঘনঘন জ্ঞান হারাতে থাকায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে ওই হাসপাতালেই। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, কোদাল দিয়ে মাথায় মেরে খুন করে আততায়ী ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যে কারণে, সদর দরজা খোলাই ছিল। রক্তমাখা সেই কোদাল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানাঘাট ১ নম্বর পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন গোপালপুরেই অন্য এক জায়গায় আগে থাকত মণিরা। বছর বারো আগে নতুন বাড়ি করে উঠে আসে। এখনও বাইরে প্লাস্টারের কাজ শেষ হয়নি। মণিরা দুই বোন, এক ভাই। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বছর তিনেক আগে শেওড়াফুলির একটি ছেলের সঙ্গে মণিরও বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বছরখানেক হল, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। বাপের বাড়িতেই ছিল।

পুলিশ জেনেছে, মণি হাসিখুশি মেয়ে। একাধিক যুবকের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। ফোনে টানা কথা বলতেও দেখা যেত বহু সময়ে। মাস তিনেক হল, রানাঘাটের দে চৌধুরীপাড়ার এক মোমো বিক্রেতা যুবকের সঙ্গে তাকে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে জেরা করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন