এখনও: চুঁচুুড়া স্টেশনে। ছবি: তাপস ঘোষ
হাইমাস্ট আলোর স্তম্ভে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির কাট আউট। হাসপাতালে, বিডিও অফিস চত্বরে বিভিন্ন প্রকল্পের ফ্লেক্স। রেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ কর্মসূচির প্রচার।
রবিবার বিকেলে ভোটের দিন ঘোষণার পরেই আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। সেই বিধি মেনে সোমবার থেকেই সরকারি জায়গা থেকে প্রচারমূলক কাজের হোর্ডিং, ফ্লেক্স সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু মঙ্গলবারও হুগলিতে সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। প্রশাসন সূত্রের দাবি, দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে ওই সব সরকারি কাজের ফিরিস্তি দেওয়া পোস্টার, ব্যানার। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘মঙ্গলবারও প্রচারমূলক নানা হোর্ডিং, রাজনৈতিক দলের পতকা সরানোর কাজ চলেছে। কিছু থেকে গিয়েছে। সব পর্যায়ক্রমে সরানো হবে।’’
এ দিন জেলার নানা প্রান্তে ঘুরে সরকারি জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজনৈতিক দলের সম্মেলনের পোস্টার চোখে পড়েছে। মশাট, চণ্ডীতলা, জঙ্গলপাড়ায় রাস্তায় পাশে বাঁশের মাঁচায় স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের ফিরিস্তি-সহ হোর্ডিং দেখা গিয়েছে। কলাছড়ায় সরকারি বাসস্ট্যান্ডেও একই জিনিস দেখা গিয়েছে। পান্ডুয়া হাসপাতালের ভিতরে পালস পোলিয়ো কর্মসূচির প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যানার ঝোলানো ছিল এ দিনও। হাইমাস্ট আলোয় সাংসদ রত্না দে নাগ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট-আউট একই জায়গায় থেকে গিয়েছে। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর প্রচারের ফ্লেক্স। আবার চুঁচুড়া স্টেশনে নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ কর্মসূচির কাট-আউট এ দিনও একই জায়গায় দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পান্ডুয়া, বলাগড়, পোলবা-দাদপুর ব্লকে বেশ কিছু সরকারি জায়গায় প্রচারমূলক হোর্ডিং খোলার কাজ বাকি। চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুরের মতো শহরেও বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং, ফ্লেক্স সরানোর কাজ চলেছে। চন্দননগর পুরভবন লাগোয়া জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা ফ্লেক্সে প্রদর্শন করা ছিল। সেগুলি সরানো হয়েছে। একই ছবি আরামবাগ মহকুমাতেও।জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘আশা করছি বুধবারের মধ্যে সব জায়গাতেই সরকারি দফতর থেকে ফ্লেক্স, হোর্ডিং খুলে যাবে।’’
হাওড়া জেলায় আবার তৃণমূল দাবি করেছে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার কাজে প্রশাসনের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন তাদের নেতা কর্মীরা। আদর্শ আচরণবিধি মানা দেখা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য জেলার ১৬টি বিধানসভাকেন্দ্রের প্রতিটিতে বিডিও-র নেতৃত্বে চারজনের বিশেষ দল গড়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন দফতর। মঙ্গলবারের মধ্যেই জেলার প্রায় সব সরকারি অফিস, মুম্বই রোড-সহ বিভিন্ন রাস্তার ধার থেকে শাসক ও বিরোধী দলগুলির হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।