শ্রীরামপুরে ফের বামপ্রার্থী তীর্থঙ্কর

এ বারও তাঁর মূল লড়াই তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৫:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

হুগলি এবং আরামবাগের মতো শ্রীরামপুর কেন্দ্রেও পুরনো মুখেই ভরসা রাখল বামেরা। গত বারের মতোই লোকসভা নির্বাচনে এখানে লড়বেন সিপিএমের তরুণ প্রজন্মের নেতা তীর্থঙ্কর রায়। এ বারও তাঁর মূল লড়াই তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

Advertisement

দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়ে তীর্থঙ্কর বলেন, ‘‘সারা বছর আমরা লড়াই-আন্দোলনের ময়দানে মানুষের পাশে থাকি। বিজেপি এবং তৃণমূলের ভ্রান্ত নীতি এবং দুর্নীতি মানুষ দেখছেন। এই দুই দলকে পরাস্ত করে ধর্মনিরপেক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়তে বামেদের জেতাতে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি সাড়া দেখছি এ বার।’’

দলের অভ্যন্তরে বছর চুয়াল্লিশের তীর্থঙ্কর পরিচিত মুন্না এবং তীর্থ ন‌ামে। দাদু দীনেন ভট্টাচার্য শ্রীরামপুরের সাংসদ ছিলেন। বাম রাজনীতিতে তীর্থঙ্করের হাতেখড়ি ছাত্রাবস্থাতেই। নয়ের দশকে তিনি শ্রীরামপুর কলেজে চুটিয়ে ছাত্র রাজনীতি করেছেন। এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। প্রথা অনুযায়ী এসএফআই থেকে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ-এ অন্তর্ভুক্তি। এখান‌ে হুগ‌লি জেলা সম্পাদক এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সাড়ে তিন বছর আগে তীর্থঙ্কর দলের মূল সংগঠনে যুক্ত হন। বর্তমানে সিপিএম এবং সিটু-র জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাস্ত হন তীর্থঙ্কর। কল্যাণ ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩৩টি ভোট পেয়েছিলেন। তীর্থঙ্কর পেয়েছি‌লেন ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪০৭টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী বাপ্পি লাহিড়ী এবং কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান তাঁর পিছনে ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement