Manoj Upadhaya

মনোজ খুনে অভিযুক্তের মৃত্যু

সিআইডি সূত্রের খবর, ভদ্রেশ্বরের গেটবাজারের বাসিন্দা মুন্নাকে বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। সে ডায়াবেটিসের রোগী ছিল। কিছুদিন আগে তার চিকেন পক্স এবং তার পরে নিউমোনিয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিন কয়েক আগে তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

অতীত: মুন্না রায়। ফাইল ছবি

ভদ্রেশ্বরের পুরপ্রধান মনোজ উপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মুন্না রায়ের (৪৮) মৃত্যু হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, ভদ্রেশ্বরের গেটবাজারের বাসিন্দা মুন্নাকে বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। সে ডায়াবেটিসের রোগী ছিল। কিছুদিন আগে তার চিকেন পক্স এবং তার পরে নিউমোনিয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিন কয়েক আগে তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার সেখানেই সে মারা যায়। বৃহস্পতিবার চন্দননগর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সাক্ষ্য দেন মামলার দুই প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী রমেশ দুবে ওরফে চিন্টু এবং লক্ষ্মীনারায়ণ টাটুকি।

গত বছর ২১ নভেম্বর ক্লাব থেকে ভদ্রেশ্বরের গেটবাজারে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন মনোজ। সেই ঘটনায় নির্দল কাউন্সিলর রাজু সাউ-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কলকাতা, হুগলি এবং বর্ধমানের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। মামলার শুনানি শুরু হয় চন্দননগর আদালতে। এ দিন আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অভিরাম বর্মনের সামনে সেদিনকার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন রমেশ ও লক্ষ্মীনারায়ণ।

Advertisement

সিআইডি জানিয়েছে, সে দিন রাত সাড়ে ১০টার পরে রমেশের মোটরবাইকেই বাড়ি ফিরছিলেন মনোজ। পিছনে আর একটি বাইকে পিছনে আসছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ। গেটবাজার এলাকায় নির্দল কাউন্সিলর রাজু সাউয়ের অনুগামীরা মনোজকে ডাকে বলে অভিযোগ। মনোজ বাইক থেকে নেমে কথা বলতে বলতে একটি গলিতে এগিয়ে যান। সেই গলিতে একটি বড় ভাঙা পাঁচিলের অন্ধকারে মনোজ খুনের আততায়ীরা লুকিয়ে ছিল। মনোজকে সামনে দেখে তারা বেরিয়ে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে। গুলির আওয়াজে রমেশ ও লক্ষ্মীনারায়ণ গিয়ে দেখেন, মনোজ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মনোজকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন