স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে মামলাটি উঠেছিল। সাজাপ্রাপ্তের নাম অনুকূল মাঝি। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০০০ সালের ২৬ অক্টোবর অনুকূল ওরফে বাপির সঙ্গে ওই গ্রামেরই তরুণী আরতি দুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে আরতির উপর অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বাপেরবাড়ি থেকে তাঁকে টাকা আনতে বলা হয়। আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় বাপেরবাড়ি থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা এবং ২ ভরি সোনার গয়না দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য অনুকূলরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। ২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে শ্বশুরবাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হন আরতি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে কলকাতা মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ওই মাসেরই ১৮ তারিখে তাঁর মৃত্যু হয়। ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে আরতি চিকিৎসক এবং বাপেরবাড়ির লোকের কাছে জানান, স্বামী তাঁর হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পরেই অনুকূল এবং তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূর বাড়ির লোক। খুন এবং বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। চুঁচুড়া আদালতে মামলার শুনানি চলে। মামলার সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায়চৌধুরী জানান, চিকিৎসক, পুলিশ অফিসার-সহ মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিচারক অনুকূলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে তার বাবা-মা বেকসুর খালাস পেয়ে যান।