দুই পঞ্চায়েত দখল নিয়ে প্রশ্ন

তারকেশ্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মুকুল রায়ের হাত ধরে মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে তাঁরা ব্লকের টিএমসিপি নেতা মহারাজ নাগের নেতৃত্বে দলবদল করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০৫:২৬
Share:

ছবি: এএফপি।

হুগলির তারকেশ্বর ব্লকের চাঁপাডাঙা এবং তালপুর পঞ্চায়েতের ১৬ জন তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মুকুল রায়ের হাত ধরে মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে তাঁরা ব্লকের টিএমসিপি নেতা মহারাজ নাগের নেতৃত্বে দলবদল করেন। দু’টি পঞ্চায়েতই তৃণমূলের থেকে বিজেপির দখলে চলে যাবে।

Advertisement

মহারাজের দাবি, চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েতে ১৭ জন সদস্যর মধ্যে ৯ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে। তালপুর পঞ্চায়েতের ১৭ জনের মধ্যে ৭ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ৩ নির্দল সদস্যও বিজেপির পক্ষে। ফলে এখানেও বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।

জেলা তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব বলেন, “দু’টি পঞ্চায়েত থেকে ৫ জন বিজেপিতে গিয়েছেন। পঞ্চায়েতের পরিচালন বোর্ডে আঁচ পড়বে না।’’

Advertisement

সন্ধ্যায় বিডিও (তারকেশ্বর) জয়গোপাল পাল বলেন, “দলবদলের খবর নেই। সে রকম হলে পঞ্চায়েত আইন অনুসারে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রলয় মজুমদার বলেন, “বিডিও-র কাছে দলবদলের খবর পেলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।”

দু’টি পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেই প্রধান-উপপ্রধান দলবদল করেননি। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রধান-উপপ্রধান দলত্যাগ না করলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য অন্য দলে গেলেও আইন অনুযায়ী আড়াই বছরের মধ্যে অনাস্থা আনার সুযোগ নেই। প্রধান-উপপ্রধান পদত্যাগ করলে জেলাশাসক শুনানি করবেন। যদি দেখা যায়, পদত্যাগের কারণ ভয়ভীতি নয়, তা হলে পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে ওই দু’টি পদে নির্বাচন হবে।

দলীয় সদস্যদের দলবদল প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘দলে থেকে যাঁরা ছাপ্পা ভোট-সহ নানা কুকর্ম করে দলকে অসম্মানিত করেছিলেন, তাঁরা চলে যাওয়ায় দলেরই ভাল হবে।” তাঁর অভিযোগ, সন্ধ্যায় ওই এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির লোকেরা আগুন ধরিয়ে দেয়।

লোকসভা ভোটে একটি বুথে ছাপ্পার অভিযোগ ওঠে মহারাজের বিরুদ্ধে। জেলা টিএমসিপি সভাপতি গোপাল রায়ের দাবি, মহারাজ সংগঠনের তারকেশ্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তখন থেকে টিএমসিপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না।

বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। একটি মোটরবাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাইকটি কার, জানা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement