তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পুরশুড়ার শ্যামপুর গ্রাম। শনিবার রাতে ওই গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি, লুঠপাট, ৪টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর এবং একটি মোটর সাইকেল ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ। লাঠির এবং বাঁশের আঘাতে দু’পক্ষের ১২ জন জখম। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। এলাকায় টহলদারি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামে ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শ্যামপুরে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর বিবাদ মাস ছয়েক ধরে চলছে। দলীয় স্তরে অভিযোগ, একটি গোষ্ঠী পুরশুড়ার বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে আছে প্রসেনজিৎ বেরা, শেখ সরিফ ওরফে টিঙ্কু। অন্যদিকে রয়েছে দলের অঞ্চল সভাপতি আক্রম হোসেনের লোকজন। আক্রম হোসেনের অভিযোগ, “চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত কিছু দুষ্কৃতী তৃণমূলে ঢুকে সন্ত্রাস করছে। আমাদের লোকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা লিখিত অভিযোগ করার পরও দলের উপরতলার নেতারা তা বসে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন। এভাবে চললে মানুষ ও কর্মী-সমর্থকরা দলের উপর আস্থা হারাবেন।’’ প্রসেনজিৎ বেরা, শেখ সরিফের দাবি, ‘‘গ্রামে নানা অন্যায়ের জুলুমের প্রতিবাদ করায় আমাদের উপর হামলা হচ্ছিল। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করে তাদের হটে যেতে বাধ্য করেছে।’’ এ বিষয়ে পুরশুড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “শ্যামপুরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ কিছু হয়নি। কিছু দুষ্কৃতী নিজেদের মধ্যে গোলমাল করেছে। পুলিশকে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে বলেছি।’’ যা শুনে বিরোধীদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘ওদের দলে তো একাধিক দুষ্কৃতী। তাই বিধায়ক খুব একটা ভুল বলেননি’।