দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ মা

বছর দশেক আগে পুরশুড়ার কলোনি পাড়ার বাসিন্দা টুম্পাদেবী ও স্থানীয় দেউলপাড়ায় বাসিন্দা নির্মল অধিকারী প্রেম করে বিয়ে করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৬
Share:

ভস্মীভূত: এখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। ছবি: মোহন দাস

নিজের বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তাঁর এক বছরের ছেলে। রবিবার রাতে হুগলির পুরশুড়ার দেউলপাড়ার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম টুম্পা অধিকারী (২৬) ও মনামী অধিকারী (৮)। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। টুম্পাদেবীর বাবা জয়ন্ত মাইতি জানান, মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে পুরশুড়ার কলোনি পাড়ার বাসিন্দা টুম্পাদেবী ও স্থানীয় দেউলপাড়ায় বাসিন্দা নির্মল অধিকারী প্রেম করে বিয়ে করেন। নির্মলবাবু তারকেশ্বর মন্দির চত্বরে একটি দোকানে কাজ করেন। তাঁর বাড়িতে সেই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় ওই দম্পতি আলাদা বাড়ি করে থাকতেন। রবিবার রাতে তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়। নির্মলবাবু বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। বাড়ির বারান্দার দরজায় তালা লাগিয়ে দেন টুম্পা। পরে তাঁকে ও তাঁর দুই সন্তানকে অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিন জনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

নির্মলবাবুর বৌদি টিনা অধিকারীর দাবি, ‘‘উনি আমাদের সংসার থেকে আলাদা হয়ে থাকতেন। কীভাবে কী ঘটেছে জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’’ নির্মলবাবুর আবার দাবি, তিনি রবিবার রাতে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ।ডাকাডাকি করায় তাঁর স্ত্রী গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ খুলে আগুন ধরিয়ে দেন। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা জানান, এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ হলে তদন্ত করে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন