শহরে যানজট রুখতে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে কোনও বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। রবিবার সকালে বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরেই নতুন এই নিয়ম বহাল হয়েছে। বাসগুলি পল্লিশ্রী কিংবা দৌলতপুরের মাঠে থাকছে। নির্দিষ্ট সময়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে যাত্রী নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, “লিঙ্ক রোড সংস্কার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী এই নিয়ম বজায় থাকবে। বাসগুলি বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ঢোকা এবং বের হওয়ার জন্য কিংবা ভিতরে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার জন্য অন্য বাস ঢুকতে না পারায় ওই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে শহরে যে যানজট হচ্ছিল তা আর হবে না।” বাস মালিক সংগঠনগুলির পক্ষে অভয়কুমার বিট বলেন, “শহরকে যানজট মুক্ত করতে পুরসভার ডাকে আমরা সাড়া দিয়েছি।’’
পুরসভা এবং পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা চওড়ায় ১৪ মিটার। তার মধ্যে ট্রলিতে বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে হকারদের দখলে চলে গিয়েছে প্রায় ৫ মিটার। বাকি ৯ মিটার অংশে একদিকে বাসস্ট্যান্ডে বাস ঢোকার এবং অন্যদিকে বের হওয়ার পথ। রাস্তা থেকে বাসস্ট্যান্ডে ঢুকতে বা বের হতে বাসগুলো যখন বাঁক নিচ্ছে তখনই যথেষ্ট জায়গার অভাবে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। ফলে যানজট বাড়ছে। এমনিতেই আরামবাগ শহর বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে রাস্তা চওড়া নয়।
মহকুমা পূর্ত দফতরের বক্তব্য, গাড়ির চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে রাস্তাটি ন্যূনতম ২১ মিটার চওড়া হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু হকারদের দৌরাত্ম্যে প্রাণান্তকর অবস্থা। বিশেষত বাসস্ট্যান্ড থেকে পল্লিশ্রী পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা পুরো শহরকেই বিপর্যস্ত করে তুলছে।