শৈবালকিশোর রায়। ফাইল চিত্র
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকের। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার নোনা এলাকার বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শৈবালকিশোর রায় (৬০) নামে ওই চিকিৎককে। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসিড জাতীয় কিছু খেয়ে ফেলেছিলেন শৈবালবাবু। মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি, মনে করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা শৈবালবাবু কলকাতার পাস্তুর ল্যাবরেটরিতে কর্মরত ছিলেন। জানুয়ারি মাসেই অবসর নিয়েছিলেন। যদিও তারপরও তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই অনুযায়ী তিনি পাস্তুর এবং শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কাজ করতেন। শম্ভুনাথ পণ্ডিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছিলেন, শরীর খারাপ। তাই দিন সাতেকের ছুটি দরকার। সেই ছুটিতেই ছিলেন তিনি।
এ দিন সকালে স্নান করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শৈবালবাবুর স্ত্রী তপতীদেবী। অনেকক্ষণ সাড়া-শব্দ না পেয়ে তিনিই ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে প্রতিবেশীদের চেষ্টায় দরজা ভেঙে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামীকে। তিনি বলেন, ‘‘কাজের অতিরিক্ত চাপ নিতে পারছিল না ও। সে কারণেই অবসাদে ভুগছিল। তা বলে এমন করবে— ভাবিনি।’’
শৈবালবাবুর একমাত্র ছেলে পশু চিকিৎসক। তিনি গুজরাতে থাকেন। একমাস আগেই তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন শৈবালবাবু।