উত্তরপাড়ায় সুটকেস দেখে বোমাতঙ্ক, মিলল স্ক্রু-ড্রাইভার

বুধবার সকালে উত্তরপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন‌ পাতকুয়োতলার রাস্তায় নর্দমার ধারে সুটকেসটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক দিন পরেই প্রজাতন্ত্র দিবস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৩
Share:

কালো রঙের একটা সুটকেস। তাকে ঘিরেই বুধবার সকাল থেকে হুলুস্থুল পড়ে গেল উত্তরপাড়ায়। বোমাতঙ্কে তটস্থ ছেলেবুড়ো থেকে দুঁদে পুলিশ অফিসার। শেষে অবশ্য বোম্ব স্কোয়াড এসে দেখল, বোমা নয়, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে ঠাসা রয়েছে সুটকেসটি। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল সকলের।

Advertisement

বুধবার সকালে উত্তরপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন‌ পাতকুয়োতলার রাস্তায় নর্দমার ধারে সুটকেসটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক দিন পরেই প্রজাতন্ত্র দিবস। সুটকেস পড়ে থাকার পিছনে কোনও মতলব থাকতে পারে! নাশকতার ছক হতে পারে! সন্দেহ হওয়ায় এলাকাবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানান। উত্তরপাড়া থানার পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। নামগোত্রহীন সুটকেস দেখে পুলিশও ঝুঁকি নেয়নি। দ্রুত বালির বস্তা দিয়ে সুটকেসের চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়। গার্ডরেল দিয়ে দেওয়া হয়। খবর পাঠানো হয় সিআইডি-র বোম্ব স্কোয়াডে। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা জায়গা পুলিশ ঘিরে রাখে।

সকাল ১০টা নাগাদ বম্ব স্কোয়াডের ৫ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। মেটাল ডিটেক্টর ঠেকিয়ে সন্দেহ বাড়ে। এর পরে বালিবোঝাই একটি গাড়িতে সুটকেসটিকে কোতরংয়ের গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যান বোমা নিষ্ক্রিয় করার ওই বিশেষজ্ঞরা। সেখানে গিয়ে সুটকেসটিকে বিস্ফোরণের চেষ্টা করানো হয়। সেটি অবশ্য ফাটেনি। এর পরেই সুটকেসটি খোলা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে নাটবোল্ট, স্ক্রু-ডাইভার, তারের মতো
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম।

Advertisement

এ দিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন চন্দননগর কমিশনারেটের এডিসিপি (শ্রীরামপুর) অতুল ভি, এসিপি মল্লিকা গর্গ। কমিশনারেটের আধিকারিকদের দাবি, সুটকেসের ভিতরে থাকা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি বেশ পুরনো। সেগুলি আর ব্যবহার করা সম্ভব নয়। কি করে সুটকেসটি সেখানে এল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত কেউ অথবা পুরনো বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় কেউ সুটকেসটি ফেলে দেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে।

এক পুলিশ-কর্তা বলেন, ‘‘সুটকেসে কাগজে লেখা ছিল ‘ইলিশ মাছের দাম দেওয়া থাকল। ওটা নিয়ে যাবি’। কিন্তু ওই নম্বরে ফোন‌ করে দেখা যায়, সেটির অস্তিত্ব নেই। সুটকেসের ভিতরে টাকাও মেলেনি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘সুটকেসের মালিকের খোঁজ মিললেই গোটা বিষয়টা পরিস্কার হবে।’’

আপাতত সুটকেস-মালিকের খোঁজে হন্যে কমিশনারেটের পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন