চালুর অপেক্ষায় ভূমি দফতরের নয়া ভবন

প্রায় আট মাস আগে তৈরি হয়ে গিয়েছে ভবন। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থাও শেষ। হয়ে গিয়েছে উদ্বোধনও। অথচ, চণ্ডীতলা ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের (বিএলএলআরও) ওই ভবনে কাজই শুরু হয়নি এখনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০২:১৩
Share:

নবনির্মিত ভবন।—নিজস্ব চিত্র।

প্রায় আট মাস আগে তৈরি হয়ে গিয়েছে ভবন। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থাও শেষ। হয়ে গিয়েছে উদ্বোধনও। অথচ, চণ্ডীতলা ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের (বিএলএলআরও) ওই ভবনে কাজই শুরু হয়নি এখনও। মশাটে ভাড়া বাড়িতেই চলছে দফতরের কাজ। ফলে, ব্লক অফিস এবং বিএলএলআরও দফতরে যাতায়াতে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

ব্লক অফিস চত্বরে বিএলএলআরও দফতরের দোতলা ভবনটি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতর। খরচ হয় ৪২ লক্ষ টাকা। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুতপা ঘোষ বলেন, ‘‘ভবন আট মাস আগে তৈরি হয়ে গেলেও জল, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দেরি হয়েছে। মাস তিনেক আগে সব কাজ শেষ হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ চলে এসেছে, ওই ভবনে কাগজপত্র সরিয়ে আনার। খুব শীঘ্রই ওই কাজ করা হবে। তার পরে এখানেই পুরোদমে কাজ চালু হয়ে যাবে।’’

মশাট বাজারে একটি বাড়ির দোতলায় কয়েকটি ঘর ভাড়া নিয়ে ওই দফতরের কাজ চলছে চার বছর ধরে চলে। তার আগে দীর্ঘদিন ওই এলাকারই অন্য একটি বাড়িতে ভবনের কাজ চলত। প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্তমানে ভাড়া বাবদ মাসে ৬ হাজার ৬০০ দিতে হয়। ভাড়াবাড়িটি ব্লক অফিস চত্বর থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত কাজে আসা লোকজনের নানা অসুবিধা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য চুঁচুড়ায় এসে নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন।

Advertisement

সাধারণ মানুষও চাইছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন ভবন চালু হোক। জঙ্গলপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক ঘোষ বলেন, ‘‘একটা সমস্যা নিয়ে আমাকে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এক বার ব্লক অফিস আর এক বার বিএলএলআরও দফতরে যেতে হচ্ছে। এক চৌহদ্দিতেই ওই দফতর থাকলে এতো দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না। সময় অনেকটাই বাঁচবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন