মাকে ফেলে দিয়ে গেল মেয়ে

আত্মহত্যার চেষ্টা অশীতিপর বৃদ্ধার

পঁচাশি বছরের বৃদ্ধা মা-কে পূর্ব পরিচিত এক প্রতিবেশিনীর বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে আসার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৫৭
Share:

—প্রতীকী ছবি

পঁচাশি বছরের বৃদ্ধা মা-কে পূর্ব পরিচিত এক প্রতিবেশিনীর বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে আসার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বৃদ্ধা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। রবিবার বিকেলে আরামবাগের বাসুদেবপুর এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে পুরশুড়ার সোদপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা গত কয়েক বছর ধরে থাকেন তারকেশ্বরের পিয়াসারা এলাকায়, মেয়ে রূপালি কর্মকারের কাছে। অভিযোগ, ওই দিন বিকেলে মেয়েই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন বাসুদেবপুরে। সেখানে থাকেন ওই বৃদ্ধার এক পুরনো প্রতিবেশী সন্ধ্যা কর্মকার। বহু বছর আগে সন্ধ্যাদেবীও সোদপুরে থাকতেন। কিন্তু রবিবার তিনি বাড়ি ছিলেন না। অভিযোগ, তাঁর ছেলে সন্দীপ ওই বৃদ্ধাকে ঘরে ঢুকতে দেননি। তত ক্ষণে রূপালি মা-কে ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন। সন্ধ্যার পর বৃদ্ধা একা হেঁটে চলে যান বাসুদেবপুর মোড়ে। সেখানে একটি বাসের সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে আরামবাগ এবং তারকেশ্বর থানার উদ্যোগে তাঁকে মেয়ের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার মেয়েকে সতর্ক করা হয়েছে। মায়ের উপর কোনও রকম অত্যাচার হলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে সিভিক ভলান্টিয়ার বৃদ্ধার খোঁজ নেবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও রূপালি এ দিন বলেন, ‘‘সোদপুরে থাকাকালীন মায়ের দেখাশোনার দায়িত্ব নেবে আশ্বাস দিয়ে সন্দীপ অনেক টাকা, গয়না হাতিয়ে নিয়েছে। এ দিন মা সে সব চাইতেই গিয়েছিলেন। আমি ফেলে আসিনি।’’

Advertisement

তবে মাকে ফেলে তড়িঘড়ি ফিরে এলেন কেন?

রূপালির দাবি, ‘‘ভাড়ার গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। চালক তাড়া দিচ্ছিল ফেরার জন্য। তাই চলে এসেছিলাম। মায়ের ওখানেই থাকার কথা ছিল।’’

সন্ধ্যা কর্মকার বলেছেন, ‘‘বহু বছর আগে চার মাস উনি আমাদের বাড়িতে ছিলেন, শুধু মাত্র পারিবারিক সম্পর্কের কারণেই। সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। আমার ছেলে ওঁকে ঢুকতে না দিয়ে অন্যায় করেছে। আমি থাকলে এমন হত না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন