প্রতীকী ছবি।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার্স কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন এক খেলোয়াড়। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে জগাছা মর্নিং স্টার ক্লাবের মাঠে। আহতের নাম মৃন্ময় পাঁজা (২০)।
আহত যুবক স্থানীয় জগাছা এলাকার অরবিন্দ নগর মিলন সমিতির হয়ে খেলছিলেন। তিনি হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পাঁজরের একটা হাড়ে গুরুতর চোট লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন জগাছা থানা এলাকার কমিশনার্স কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ছিল, শক্তিনগর আমরা ক’জন স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে অরবিন্দ নগর মিলন সমিতির। আহত মৃন্ময় খেলেন দলের লেফট উইংয়ে। খেলার সময়ে বিপক্ষ খেলোয়াড়ের ট্যাকলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। অরবিন্দ নগর মিলন সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এত বড় টুর্নামেন্টে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না বা কোনও অ্যাম্বুল্যান্সও ছিল না। এমনকী মাঠে ছিলেন না পুলিশের কোনও পদস্থ অফিসার। ফলে মাঠের বাইরে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পরে প্রায় আধ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যদিও এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘মাঠে এক জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার হাজির ছিলেন। ওই খেলোয়ার অসুস্থ হতেই পুলিশের কিরণ অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত খেলোয়াড়কে ফেলে রাখার অভিযোগ কোনও ভাবেই ঠিক নয়।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসাধীন যুবকের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই যুবকের বুকের এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পাঁজরের হাড়ে চোট পাওয়া গিয়েছে।