মারধরে মৃত্যু, গ্রেফতার মহিলা

পুলিশ জানায়, নিহতের পরিবারের তরফে থানায় বুবাই এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। আর এক অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মারধরের জেরে এক আনাজ-বিক্রেতার মৃত্যুতে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে শ্রীরামপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুচিপাড়ায় ওই ঘটনায় নিহতের নাম ইন্দ্রজিৎ সাহা (৫৩)। তাঁর বাড়ি শহরের তারাপুকুর কলোনিতে। ধৃত অর্চনা অধিকারী মুচিপাড়ারই বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত অর্চনা ছেলে বুবাইও। সে পেশায় ভ্যানচালক। এ দিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি।

Advertisement

পুলিশ জানায়, নিহতের পরিবারের তরফে থানায় বুবাই এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। আর এক অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে। খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, অর্চনা অভিযোগ মানেনি। তার দাবি, ‘‘আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। লোকের বাড়ি কাজ করি। রাতে কাজ সেরে ফিরে শুনি, ছেলের সঙ্গে ইন্দ্রজিৎবাবুর মারামারি হয়েছে। দু’জন দু’জনকে ঠেলে দিয়েছে। তাতেই বিদ্যুতের খুঁটিতে মাথায় লেগে উনি অজ্ঞান হয়ে যান। ছেলেই ভ্যানে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচুবাবুর বাজারে আনাজ বিক্রি করতেন ইন্দ্রজিৎ। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ দোকান গুছিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মুচিপাড়ায় বুবাইয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, তখনই বুবাই এবং অর্চনা তাঁকে মারধর করে। রাস্তার ধারে স্ল্যাবজাতীয় কিছুতে পড়ে ইন্দ্রজিতের মাথা ফাটে। তাঁকে বুবাইয়ের ভ্যানেই শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। বেগতিক বুঝে বুবাই সেখান থেকে চম্পট দেয়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ইন্দ্রজিতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ইন্দ্রজিতের কাছ থেকে আনাজ কিনত অর্চনা। দু’জনের মধ্যে সম্পর্কও তৈরি হয়। তা নিয়েই বুবাইয়ের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের অশান্তি হয়। নিহতের স্ত্রী জয়ন্তী সাহা অবশ্য সে কথা মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘ওরা মা-ছেলে মিলে আমার স্বামীকে মেরেছে। কী কারণে মারল, জানি না। ওদের শাস্তি চাই। স্বামী ওদের থেকে টাকা পেতেন। সেই টাকা ওরা দিয়েও দেয়।’’ স্থানীয় কাউন্সিলর উত্তম রায় বলেন, ‘‘অভিযুক্ত পরিবারকে বলেছি, আইনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন