শ্রীরামপুরে ব্যবসায়ী খুনে ‘সুপারি’, বলছে পুলিশ

‘সুপারি’ দিয়ে খুন করা হয় শ্রীরামপুরের ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাদুড়িকে। এমনই দাবি পুলিশের। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সোমবার রাতে আরও এক জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম কার্তিক দাস। বাড়ি শ্রীরামপুরের টিনবাজারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৬
Share:

‘সুপারি’ দিয়ে খুন করা হয় শ্রীরামপুরের ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাদুড়িকে। এমনই দাবি পুলিশের। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সোমবার রাতে আরও এক জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম কার্তিক দাস। বাড়ি শ্রীরামপুরের টিনবাজারে। মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই নিয়ে ওই ঘটনায় ধরা পড়ল দু’জন।

Advertisement

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীরামপুরের সিমলায় নিজের স্টুডিওতে খুন হন বাঙ্গিহাটির বাসিন্দা সঞ্জয়বাবু। তাঁকে খুনের অভিযোগে গত শনিবার শ্রীরামপুরের চাতরা এলাকার বাসিন্দা অমর লাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাঁর সঙ্গে নিহতের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন আগে ওই মহিলা অমরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় সঞ্জয়বাবুর উপর আক্রোশ তৈরি হয়। তাই সঞ্জয়বাবুকে অমর প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় অমর স্বীকার করেছেন, সঞ্জয়বাবুর শুধু হাত-পা ভাঙার জন্য কার্তিকের মাধ্যমে এক দুষ্কৃতীকে ‘সুপারি’ দেন তিনি। এক লক্ষ টাকায় রফা হয়। কিন্তু তিনি খুন করতে বলেননি। রফার টাকা তিনি কাজ শেষে দেবেন বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, সঞ্জয়বাবু যে গভীর রাত পর্যন্ত স্টুডিওতে থাকতেন, অমর তা বিলক্ষণ জানেন। সেই কারণেই রাতেই ‘অপারেশন’ চালানো হয়। কিন্তু রফার টাকা তিনি ওই দুষ্কৃতীকে দেননি।

যদিও জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘ধৃতের সব কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। খুনের পরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে অমরের মোবাইলে কথা হয়েছিল। ধৃতের বক্তব্যের সারবত্তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ধৃত দু’জনকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement