নজির: তুলসিবেড়িয়ায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি নিজস্ব চিত্র
শুরু হল হাওড়া জেলার ১০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সম্প্রতি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে ১৩-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পঞ্চায়েত এবং ১৭-১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের কাজ শেষ করতে হবে।
সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে এমন ৪০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে। কোনও না কোনও আসনে যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা সেখানেই দ্বিতীয় পর্যায়ে বোর্ড গঠনের কাজ হবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনগুলিতে ফল ঘোষণায় কোনও বাধা থাকবে না— সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেওয়ার পরেই দ্বিতীয় পর্যায়ে বোর্ড গঠনে তৎপর হয় প্রশাসন। দ্বিতীয় পর্যায়ে বোর্ড গঠন হবে এমন অনেক ব্লকে বহু পঞ্চায়েতই বিরোধী শূন্য।
কিন্তু তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে অশান্তি হতে পারে— এমন আশঙ্কা রয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যেই। তাই বিভিন্ন ব্লক থেকে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাসক ও বিরোধীর মধ্যে ব্যবধান কম। এইরকম বহু পঞ্চায়েতেও সদস্যদের নিয়ে টানাটানি হতে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেক কর্তা। তাঁদের আশঙ্কা তা নিয়েও অশান্তি হতে পারে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা উড়িয়ে দিয়ে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূলে সভাপতি ও রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় অবশ্য বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির মাথায় কারা থাকবেন তা ঠিক করবেন রাজ্য নেতৃত্ব। স্থানীয় ভাবে কিছুই করা হবে না। পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবেন তা দলের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং নিরাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন। ফলে গোলমালের কোনও প্রশ্ন নেই।’’
বিজেপির হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা অন্য দল থেকে পঞ্চায়েত সদস্য ভাঙাব না।’’ তবে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘কয়েকটি পঞ্চায়েতে আমরা বোর্ড গঠন করার মতো অবস্থায় রয়েছি। সেখানে যদি আমাদের বাধা দেওয়া হয় আমরা পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেব।’’