ঘরছাড়া পরিবারকে গ্রামে ফেরাল পুলিশ

রবিবার বাসন্তীদেবী এবং তাঁর স্বামী তাপসকে হরিপাল থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখনই তাঁদের বাড়ি ফেরানোর বিষয়টি স্থির হয়। গত বছরের জুনে কলের পাইপলাইন বসানো নিয়ে বাসন্তীদেবীদের সঙ্গে অনিল দে নামে এক পড়শির বিবাদ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

ফেরা: নিজস্ব চিত্র

শাসকদলের এক নেতার কলকাঠিতে এক বছর ধরে নালিকুলের একটি পরিবার ঘরছাড়া ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার তাঁদের ঘরে ফেরাল পুলিশ।

Advertisement

বাড়ির তালা খুলে এ দিন পূর্ব নালিকুল পঞ্চায়েতের নয়পাড়ার বাসিন্দা, বাসন্তী পয়রা নামে ওই গৃহকর্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাড়ির ভিতরে এখনও ভাঙচুরের চিহ্ন স্পষ্ট। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল জিনিসপত্র। কিছুদিন আগে আনন্দবাজার পত্রিকায় ওই পরিবারের ঘরছাড়া থাকার খবরটি প্রকাশিত হয়। বাসন্তীদেবী বলেন, ‘‘সারা রাত ঘুম হয়নি। খালি সকালের অপেক্ষা করেছি। পুলিশই গাড়িতে আমাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়।’’

রবিবার বাসন্তীদেবী এবং তাঁর স্বামী তাপসকে হরিপাল থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখনই তাঁদের বাড়ি ফেরানোর বিষয়টি স্থির হয়। গত বছরের জুনে কলের পাইপলাইন বসানো নিয়ে বাসন্তীদেবীদের সঙ্গে অনিল দে নামে এক পড়শির বিবাদ হয়। তার পরে অনিলবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাসন্তীদেবীদের জন্যই অনিলবাবু মারা গিয়েছেন, এমন অভিযোগ ওঠে। সেই সময় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য প্রসেনজিৎ পাত্র লোকজন নিয়ে বাসন্তীদেবীদের বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের হওয়ায় বাসন্তীদেবী ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাসন্তীদেবীর স্বামী তাপসবাবু পালিয়ে যান।

Advertisement

বাসন্তীদেবীদের দাবি, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে অনিলবাবু হৃদরোগে মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়। পরে জামিন পান বাসন্তীদেবী ও তাঁর ছেলে। এর পরেই তাঁরা প্রসেনজিৎ-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তার পরে আর বেশিদিন ঘরে থাকতে পারেননি। প্রসেনজিতের কলকাঠিতেই তাঁদের ঘরছাড়া হতে হয় বলে অভিযোগ। এ জন্য তাঁদের একমাত্র ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক দিতে পারেনি। প্রসেনজিৎ অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন