কার্তিক পুজোয় নজরদারি ড্রোনে

জগদ্ধাত্রী পুজো শেষ। হুগলি জেলার উৎসবের আঙিনায় এ বার হাজির দেব সেনাপতি। আপাতত বাঁশবেড়িয়া এবং সাহাগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা মেতে উঠেছে তাঁকে নিয়েই। পুজোকে কেন্দ্র করে আগামী কয়েক দিন জনতার ঢল নামবে রাজপথ থেকে অলিগলিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁশবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০৪
Share:

প্রকাশিত হল কার্তিক পুজোর গাইড ম্যাপ। বাঁশবেড়িয়ায়।-সুশান্ত সরকার।

জগদ্ধাত্রী পুজো শেষ। হুগলি জেলার উৎসবের আঙিনায় এ বার হাজির দেব সেনাপতি। আপাতত বাঁশবেড়িয়া এবং সাহাগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা মেতে উঠেছে তাঁকে নিয়েই। পুজোকে কেন্দ্র করে আগামী কয়েক দিন জনতার ঢল নামবে রাজপথ থেকে অলিগলিতে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করে ভিড় সামাল দিতে কোমর বেঁধেছে পুলিশও। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তার বেড়াজাল।

Advertisement

রবিবার সকালে বাঁশবেড়িয়া-সাহাগঞ্জ এলাকায় কার্তিক পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয় পুলিশ-প্রসাসনের তরফে। ওই উপলক্ষে হংসেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ছিলেন কৃষি বিপণ‌ন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, জে‌লার পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কোটেশ্বর রাও, ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) উৎপল সাহা, বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান অরিজিতা শীল, চুঁচুড়ার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

জেলা পুলিশের কর্তারা জানান, গোটা এলাকায় ৭০টি ক্লোজড্‌ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিক্যামেরা) বসানো হচ্ছে। এ ছাড়াও নজরদারির জন‌্য ড্রো‌ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায়। পুজোর দিনগুলিতে শহরে থাকবেন বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের লোকজন। কয়েকশো পুলিশকর্মী থাকবেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। সিভিক পুলিশকেও রাস্তায় নামানো হবে ভিড় সামাল দিতে। থাকবেন মহিলা পুলিশকর্মীও।

Advertisement

ইভ-টিজিং বা ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকেও পুলিশ থাকবে। কোনও বেচাল দেখলে এর ফলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে পুলিশ কর্তারা জানান। তপনবাবু বলেন, ‘‘পুজোর দি‌নগুলিতে কোথাও যেন অশান্তি না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনকে নজর দিতে বলা হয়েছে।’’ পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঠাকুর দেখতে পারেন, তার সব ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।’’

জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ভারীগাড়ি শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গঙ্গার অন্য পারে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া থেকেও বহু লোক বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক পুজো দেখতে আসেন‌। ওই দুই জেলার পুলিশের সঙ্গেও নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।

বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান জানান, বাঁশবেড়িয়া এবং পাশের চুঁচুড়া পুর-এলাকা মিলিয়ে দেড়শোরও বেশি পুজো হয়। পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হবে। রাস্তাঘাট যেতে সাফ থাকে, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন