মিছিলে মাইক নিয়ে সংঘর্ষ, জখম ১২

মিছিলের মাইক বাজানো নিয়ে এসএফআই এবং টিএমসিপি-র সংঘর্ষে জখম হলেন ১২ জন। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার মহসিন কলেজের সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২৫
Share:

এসএফআইয়ের প্রতিবাদ। ছবি: তাপস ঘোষ।

মিছিলের মাইক বাজানো নিয়ে এসএফআই এবং টিএমসিপি-র সংঘর্ষে জখম হলেন ১২ জন। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার মহসিন কলেজের সামনে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শিক্ষাকেন্দ্রে অচলাবস্থা ও শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জেলা এসএফআই-এর পক্ষ থেকে এদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়। চন্দননগর থেকে মিছিল শুরু করে মহসিন কলেজ হয়ে জেলাশাসকের কাছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। পরে চুঁচুড়ার পিপুলপাতি এলাকায় পথসভা হওয়ার কথা ছিল। দুপুরে চন্দননগর কলেজ থেকে মিছিল শুরু হয়। দুপুর ২টা নাগাদ কলেজের সামনে মিছিল এসে দাঁড়ায়। মিছিলের সামনে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তৈরি ট্যাবলোতে মাইক লাগানো ছিল। এসএফআই নেতারা বক্তৃতা শুরু করলে টিএমসিপি (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ) সমর্থিত কিছু ছাত্রছাত্রী মাইক বন্ধ করতে বলায় তা নিয়ে বচসা বাধে। দু’দলই মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়। মারামারিতে দু’পক্ষের ১২ জন ছাত্রছাত্রী জখম হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দু’পক্ষই থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে।

এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য অর্ণব বসু বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর হামলা চালানো হয়েছে। বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে এদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মহসিন কলেজের সামনে মিছিল পৌঁছনো মাত্র টিএমসিপি-র লোকজন হামলা চালায়।’’ মহসিন কলেজের তৃণমূল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুতীব্র রায়ের দাবি, ‘‘এসএফআই-এর মিছিল কলেজের সামনে আসার পর মাইকে উচ্চস্বরে বক্তৃতা হচ্ছিল। তা বন্ধ করতে বললে আমাদের সমর্থকদের মারতে শুরু করে ওরা। এরপর অন্যরা এগিয়ে এলে ওরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement