১২ লক্ষের মঞ্চে শাসক দলের সম্মেলন

মাঠ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাকর্মীদের বিপুল খরচ থেকে বিরত থাকার কথা বারবার বলছেন। কারণ, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৭
Share:

প্রস্তুতি-শেষ: আজ এই মঞ্চেই সম্মেলন। নিজস্ব চিত্র

সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।

Advertisement

দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাকর্মীদের বিপুল খরচ থেকে বিরত থাকার কথা বারবার বলছেন। কারণ, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু দলের নেতারা তা শুনছেন কোথায়! বিপুল আয়োজনে আজ, রবিবার বৈদ্যবাটির বিএস পার্ক মাঠে হুগলি জেলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন হতে চলেছে।

কেমন সে আয়োজন?

Advertisement

তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঞ্চ তৈরিতে খরচ হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। সম্মেলনে যে সব কর্মী আসবেন, তাঁদের জন্য খাবারে থাকছে জিরা রাইস এবং মুরগির মাংস। দেওয়া হবে জলের বোতলও। এ সবে খরচ ১০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া, কর্মীদের ফাইল, প্রতিবেদন, লেখার প্যাড, কলম এবং প্রচারের ফ্লেক্স-পোস্টারে খরচ হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা। এর বাইরেও রয়েছে আরও খরচ। কর্মীদের বসার জন্য থাকছে ১০ হাজার চেয়ার।

চোখ কপালে ওঠার জোগাড় সাধারণ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরই। তাঁরা বলছেন, জেলায় এমন সম্মেলন আগে দেখেননি। সে কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে এ বারের সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক।’’ কিন্তু এত খরচ হচ্ছে কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে। তবে, এ নিয়ে নানা মহলে জোর জল্পনা চলছে।

ক্রীড়াপ্রেমীদের আশঙ্কা, সম্মেলনের জন্য শহরের একমাত্র মাঠটির দফারফা হবে। প্রতিভার খোঁজে সম্প্রতি এই মাঠেই খুদেদের ট্রায়াল নিয়েছিল অ্যাটলেটিকো দে কলকাতা। তাঁদের প্রশ্ন, মেলা, পুজো থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি— সবেতেই খেলার মাঠকে কেন বেছে নেওয়া হয়? এই সম্মেলনের জন্য ক্লাবের খেলাধুলো প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু দিন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মাঠটি জিটি রোডের ধারে হওয়ায় অবস্থানগত সুবিধার জন্য সম্মেলনস্থল হিসেবে বাছা হয়েছে। একই সঙ্গে এ কথাও তাঁরা মানছেন, মাঠ নষ্টের আশঙ্কা অমূলক নয়। সম্মেলন মিটলে মাঠকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তা কতদিনে হবে, প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement