দামোদরে মিলল অন্তঃসত্ত্বার দেহ

দামোদরের জলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরশুড়া শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৯
Share:

দামোদরের জলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে পুরশুড়ার রসুলপুর রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার এই ঘটনায় মৃতের নাম সুপর্ণা কোলে (২২)। তিনি স্থানীয় তকিপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই বধূকে খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দেন মহিলার বাপের বাড়ির লোক এবং স্থানীয়রা। পরে মৃত বধূর বাবা স্থানীয় জঙ্গলপাড়া গ্রামের মহিলার স্বামী কৌশিক কোলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগারো মাস আগে জঙ্গলপাড়া গ্রামের সুপর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তকিপুরের কৌশিকের। কৌশিক হাওড়ার একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করেন। মৃতার বাবা গণেশ প্রধানের অভিযোগ, “পাত্র পক্ষের দাবি মত সমস্ত যৌতুক মেটানো সত্ত্বেও বিয়ের মাস খানেক পর থেকেই অসন্তোষ জানাচ্ছিল মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর অত্যাচার আরও বাড়ে।’’ তিনি জানান, নির্যাতনের জেরে এক মাস আগে সুপর্ণা বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছিল শ্বশুরবাড়ি।

Advertisement

পড়শিরা পুলিশকে জানিয়েছে, সোমবার সুপর্ণাকে পরীক্ষা করানোর নাম করে কৌশিক তাঁকে তারকেশ্বর নিয়ে যান। সকালে কৌশিককে বাড়িতে দেখা গেলেও সুপর্ণাকে দেখতে পাননি গ্রামের মানুষ। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সুপর্ণার দেহ উদ্ধারের খবর আসে গ্রামে।

পুলিশের কাছে কৌশিকের অবশ্য দাবি, তিনি স্ত্রীকে খুন করেননি। তারকেশ্বর থেকে রাতে ফেরার পথে স্ত্রী তাঁকে কিছু না জানিয়ে উধাও হয়ে যান। স্ত্রী আগের মতই না জানিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন ভেবে পুলিশে খবর দেননি বলে দাবি কৌশিকের। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন