জট কাটল গুপ্তিপাড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে

সাত দিনের মধ্যে ক্লাস চালুর আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

 প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপের পরেই জট কাটতে চলেছে গুপ্তিপাড়ার বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। টানা ছাত্র আন্দোলন চলার পর সাত দিনের মধ্যেই পঠনপাঠন চালু এবং অধ্যক্ষকে নিয়ে জটিলতা মেটানোর আশ্বাস দিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুপ্তিপাড়া শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০১
Share:

ফলপ্রসূ: পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসছেন কলেজের এক ডিরেক্টর অমিত দাস। ছবি: সুশান্ত সরকার

প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপের পরেই জট কাটতে চলেছে গুপ্তিপাড়ার বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। টানা ছাত্র আন্দোলন চলার পর সাত দিনের মধ্যেই পঠনপাঠন চালু এবং অধ্যক্ষকে নিয়ে জটিলতা মেটানোর আশ্বাস দিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ চালুর প্রতিশ্রুতি পেয়ে শনিবার ঘেরাও তুলে নিলেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরাও।

Advertisement

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের মতবিরোধের জেরে গুপ্তিপাড়ার বাঁধাগাছির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কর্তৃপক্ষ কলেজে না আসায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস নিতে অস্বীকার করেন। আর ক্লাস না হওয়ায় আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটক করে রাখেন তাঁরা। পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপেও সমস্যা মেটেনি। কয়েকজন ছাত্রছাত্রী অনশনও শুরু করেছি‌লেন।

সমস্যা সমাধানের দাবিতে পড়ুয়াদের তরফে শুক্রবার রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা দফতরে চিঠি দেওয়া হয়। ওই দিনই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সৈকত মৈত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি জানিয়ে দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisement

কলেজ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও মুক্ত করেন পড়ুয়ারা। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রদীপ চৌধুরী ও তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠের সঙ্গে যৌথভাবে কলেজ পরিচালনা করে একটি বেসরকারি সংস্থা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ অন্যতম ডিরেক্টর অমিত দাস কলেজে আসেন। তিনি সাত দিনের মধ্যে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন পড়ুয়াদের। গত বুধবার নোটিস দিয়ে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস এবং হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছি‌ল। এ দিন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, হস্টেল ছাড়তে হবে না। বৈঠক সেরে বেরনোর সময় অমিতবাবু বলেন, ‘‘শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমধানসূত্র মিলেছে।’’

চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া অমৃতেন্দু দাস, আবির মুখোপাধ্যায়দের বক্তব্য, ‘‘আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটবে। পূর্ণ সময়ের জন্য অধ্যক্ষ কলেজে থাকবেন বলেও উনি আশ্বাস দিয়েছেন।’’ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচর্য সৈকত মৈত্র বলেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে, সেটাই চাই।’’

এ বার সমস্যা মিটবে, আশায় সব পক্ষই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন