Indian Railways

সমস্যা মিটল রেলের যন্ত্রাংশ কারখানায়

ডানকুনির বামুনারিতে দিল্লি রোডের ধারের ওই কারখানায় রেলের যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। প্রায় ছ’শো শ্রমিক আছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

এক মাস পেরিয়ে আলোচনায় সমস্যা মিটল ডানকুনির ‘হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড’-এ। কাজে যোগ দিলেন ঠিকাশ্রমিকেরা। বুধবার থেকে পুরোদমে কাজ চালু হল।

Advertisement

ডানকুনির বামুনারিতে দিল্লি রোডের ধারের ওই কারখানায় রেলের যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। প্রায় ছ’শো শ্রমিক আছেন। তার মধ্যে চারশোরও বেশি ঠিকাশ্রমিক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রমিক সরবরাহকারী দুই ঠিকাদার কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করে কারখানা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান, তাঁরা কাজ করবেন না। সমস্যায় পড়েন ঠিকাশ্রমিকরা।

বকেয়া বেতন, পুজোর বোনাস এবং কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন। তার প্রভাব পড়ে উৎপাদনে। এর পরেই অবশ্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পুরনো ঠিকাদার বকেয়া বেতন, বোনাস মিটিয়ে দেন। কিন্তু সব ঠিকাশ্রমিকদের কাজে নেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

Advertisement

আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত ঠিকাশ্রমিক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, প্রত্যেককেই কাজে নিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি আটকে থাকে। এর মধ্যেই কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষিত কিছু কর্মী নিয়োগ করেন। তাতে অবশ্য পূরোদমে উৎপাদন চালু করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যায়ে থাকা কিছু কাজ করানো হয়।

মঙ্গলবার ঠিকাশ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় জানান, সমস্যা তৈরির পরে সংসার চালাতে কয়েক জন ঠিকাশ্রমিক অন্যত্র কাজ করছেন। এমন জনাদশেক শ্রমিককে বাদ রেখে বাকিদের কাজে নিতে কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়েছেন। অন্যত্র কাজ করছেন, এমন শ্রমিকরা কারখানায় ফিরতে চাইলে পরবর্তী সময়ে তাঁদের নেওয়ার কথা ভাবা হবে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ গোড়া থেকেই বলে এসেছিলেন, ঠিকাশ্রমিকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। অন্বয় বলেন, ‘‘কোন ঠিকাদারের অধীনে ঠিকাশ্রমিকরা কাজ করবেন, তাঁদের মজুরি নিয়ম মেনে হবে কিনা, এই সব ব্যাপারে নিশ্চয়তার দায়িত্ব মালিকপক্ষই নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরাই গোটা নিশ্চিত করবেন। কর্তৃপক্ষের এই মনোভাবে আমরা খুশি।’’

জট কেটে যাওয়ায় ঠিকাশ্রমিকরা খুশি। তাঁদেরই একজনের কথায়, ‘‘খুব বিপাকে পড়ে গিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুজোর এক দিন আগে কারখানা খুলল। লক্ষ্মী মুখ তুলে তাকিয়েছেন।’’ অপর এক শ্রমিক বলেন, ‘‘কাজে এবং মজুরিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়াতেই আমরা কাজ বন্ধ করেছিলাম। এ বার পুরোদমে কাজ করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement