শহরের সমস্ত বেআইনি বাড়ি চিহ্নিত করে এককালীন রিটেনশন ফি নেবে হাওড়া পুরসভা। শুক্রবার ২০১৫-’১৬-এর বাজেটে এ কথা ঘোষণা করেন হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। পুরসভার দাবি, বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যার ফলে এক দিকে, শহরে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা কমবে অন্য দিকে অবৈধ নির্মাণ থেকে পুরসভার আয় বাড়বে। মেয়র জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, আইনি জটিলতায় বেআইনি নির্মাণ হলে অনেক সময় পুরসভার করার কিছু থাকত না। এর ফলে যাঁরা বাস্তুবিধি মেনে বাড়ি করেছেন বা করতে ইচ্ছুক তাঁরা পুর-কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই এখন ঠিক হয়েছে, যে সব বসত বাড়ি আগেই অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে এবং যেখানে বসবাস শুরু হয়েছে সেখানে আবেদনের ভিত্তিতে ‘কেস টু কেস’ বিচার করে রিটেনশন ফি স্থির করা হবে।
হাওড়া পুরসভার মেয়র এ দিন আগামী বছরের জন্য ৪৮৬ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার ঘাটতি শূন্য বাজেট পেশ করেন। বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২৮৮ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। মেয়র জানান, মাত্র এক বছরের মধ্যেই বিভিন্ন খাতে হাওড়া পুরসভার আয় বেড়েছে। লাইসেন্স, বাস্তু বিভাগ ও সম্পত্তি কর বিভাগ থেকে আয় তিনগুণ বেড়েছে। মেয়র তাঁর বাজেট বক্তৃতায় জানান, দলের আদর্শ মেনে বাজেটে নতুন কোনও কর আরোপ বা বৃদ্ধির প্রস্তাব নেই। আছে শুধু অনাদায়ী রাজস্ব আদায় ও বিকল্প আয়ের উৎস খোঁজা। তা থেকেই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করা যাবে বলে মেয়রের আশা।