প্রতিবাদ: শেওড়াফুলি স্টেশনে বিক্ষোভ নিত্যযাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র
প্রতিদিন দেরিতে ঢোকে ট্রেন। ফলে, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব রেলের হাওড়া-তারকেশ্বর শাখার শেওড়াফুলি স্টেশনে অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। সকাল সওয়া ১০টা থেকে ঘণ্টাখানেক অবরোধের জেরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবিমতো রেলকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চালানোর লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। সম্প্রতি হাওড়া-বর্ধমান শাখার বৈঁচি স্টেশনেও একই কারণে অবরোধ হয়েছিল।
তারকেশ্বরের বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ, ৩৭৩১৭ আপ হাওড়া-তারকেশ্বর লোকাল দেরিতে চলা নিয়ে। সময়-সারণি অনুযায়ী ট্রেনটির শেওড়াফুলি স্টেশনে ঢোকার নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা ৪০মিনিট। তারকেশ্বরে পৌঁছনোর সময় সকাল ১০টা ৩২ মিনিট। কিন্তু ট্রেনটি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে শেওড়াফুলিতে ঢোকে।
ওই ট্রেনটি ধরে বহু মানুষ কর্মস্থলে যান। তার মধ্যে যেমন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, তেমনই রয়েছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনটি দেরিতে আসায় প্রায়ই তাঁদের কর্মস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়। ফলে, হাজিরা খাতায় ‘লেট মার্ক’ পড়ে। এ দিন ট্রেনটি সওয়া ১০টার পরে তারকেশ্বর স্টেশনে ঢোকায় নিত্যযাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় অবরোধ।
মৌসুমী সেন দে, রীতা ঘোষের মতো কয়েক জন নিত্যযাত্রীর ক্ষোভ, ট্রেনটি কার্যত কোনও দিনই সময়ে ঢোকে না। মাঝেমধ্যেই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত দেরি করে। এ ব্যাপারে যাত্রীদের তরফে গণস্বাক্ষর সংবলিত আবেদনও জমা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দফতরে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
তারকেশ্বর লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক হরদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ট্রেনটি এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে যেটি হাওড়া থেকে ছাড়ে, সেটিও প্রতিদিন দেরিতে চলে। এ ব্যাপারে আমরা রেল দফতরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। বহু বার মৌখিক ভাবেও জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি।’’ রেল কর্তারা জানান, ট্রেন যাতে সময় মেনে চলে সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।