Indian Railways

রেলের উচ্ছেদ নোটিসে শোরগোল

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:১২
Share:

সেই নোটিস। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক আগে উচ্ছেদ হয়েছে খাটাল। এ বার শ্রীরামপুরে মালগুদাম সংলগ্ন নিজেদের জমিতে থাকা বাড়ি-দোকানও তুলে ফেলার জন্য নোটিস দিল রেল। এ জন্য সময় দেওয়া হয়েছে সাকুল্যে ১১ দিন।

Advertisement

ওই নোটিসকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের যেখানে রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থা, সেই সময় এমন নির্দেশে রেলের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ।

রেলের কর্তারা অবশ্য এ ব্যাপারে নিয়মের কথা শুনিয়েছেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তীর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা হচ্ছে আইন এবং

Advertisement

নিয়ম মেনেই হচ্ছে।’’ পূর্ব রেল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মালগুদাম সংলগ্ন রাইল্যান্ড রোডের ধারে রেলের জমিতে শ’দেড়েক পরিবারের বাস। কয়েকটি দোকান এবং খাটালও তৈরি হয়। অভিযোগ, গত সোমবার রেল এবং আরপিএফের লোকজন গিয়ে খাটাল তুলে দেন। ফলে, আশপাশে ফাঁকা জায়গায় গরু-মোষ রাখছেন খাটাল-মালিকরা।

শুক্রবার বাড়ি বাড়ি নোটিস পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ অগস্টের মধ্যে সমস্ত বাড়ি, দোকান, খাটাল খালি করে দিতে হবে। অন্যথায় জবরদখলকারীদের জবরদস্তি উচ্ছেদ করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় ওই নোটিস সেঁটেও দেওয়া হয়েছে। জনৈক কৃষ্ণ যাদব এবং তাঁর যুবক ছেলে সঞ্জয় ওই এলাকায় চায়ের দোকান চালান। পিছনে খাটাল ছিল। সঞ্জয় বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে খাটাল তুলে দিল। এ বার দোকানও সরাতে বলছে। কোথায় যাব? এটাই আমাদের রোজগারের একমাত্র উপায়।’’

রাজকুমার সিংহ নামে এক যুবক স্ত্রী, দশম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে, ভাই, ভ্রাতৃবধূ, দুই ভাইঝিকে নিয়ে রেলের জমিতে টালির বাড়িতে থাকেন। রাজকুমার জোগাড়ের কাজ করেন। ভাই সুজিত ভ্যানে করে আনাজ বেচেন।

রাজকুমারের কথায়, ‘‘সাত জন মিলে কোথায় গিয়ে মাথা গুঁজব? বড্ড চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।’’ অনেকেরই এই বক্তব্য। রেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন