নির্দেশ: আমতার কর্মী সম্মেলনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
দলকে বাবা বা দাদুর সম্পত্তি মনে করা যাবে না— রবিবার হাওড়ার আমতা পীতাম্বর হাইস্কুলে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে এসে এই বার্তাই দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও এখন থেকেই তাকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলায় কর্মী সম্মেলন শুরু করেছে শাসক দল। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই এ দিনের সভা হয়। সেখানে রাজীববাবু ছাড়াও ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদ, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায়, উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি প্রমুখ।
এ দিন কমবেশি সবার গলাতেই ছিল আত্মসমালোচনার সুর। তবে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এ দিন সবথেকে বেশি সরব ছিলেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। তার জন্য দলের ক্ষতি করবেন না। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থাকলে বসে মিটিয়ে নিন। নেতারা দরজা বন্ধ করে রাখবেন না। সবার জন্য দরজা খুলে দিন।’’ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার পরে তৃণমূলের কিছু জনপ্রতিনিধি জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি করে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কষ্ট করে দল তৈরি করেছেন। মাথা নিচু করে চলুন। অহঙ্কার ছাড়ুন।’’
হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজিকে যাতে প্রার্থী করা না হয়, তার জন্য দলের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তারপরেও অবশ্য নির্মলকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তিনি জিতেও যান। সম্প্রতি ওই এলাকায় সক্রিয়তা বাড়িয়েছে বিজেপি। তাদের মিছিল ও সভাতে লোক বাড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে বিজেপি কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে দলীয় কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।