দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে উদ্ধার হুগলির শেওড়াফুলির নিখোঁজ তরুণী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ অগস্ট থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর সতেরোর ওই তরুণী। বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও তার হদিস পাননি। পরে পরিবারের লোকজন শ্রীরামপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন দুই মহিলা ও এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা পুলিশকে জানান, ২৪ অগস্ট দুপুরে শেওড়াফুলি স্টেশনে দুই মহিলা মেয়েটিকে হাওড়াগামী ট্রেনে তুলে দেন। অভিযুক্তদের মধ্যে মমতাজ বেগম নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়েটির মোবাইল ফোনের ‘টাওয়ার’ ধরে পুলিশ জানতে পারে, সে মগরাহাটে রয়েছে। এর পরেই সোমবার শ্রীরামপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর রঞ্জন দাসের নেতৃত্বে মহিলা পুলিশ-সহ একটি দল মগরাহাটে যায়। স্থানীয় থানায় সাহায্যে ওই রাতে সেখানকার আমড়াতলা রাজাপুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। রাতেই তাকে শ্রীরামপুরে নিয়ে আসা হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের ধারণা, বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশের দাবি, কাবুল শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে মেয়েটি সেখানে গিয়েছিল। ওই যুবক পলাতক। তাঁকে এবং গুলাপ্পন বিবি নামে শেওড়াফুলির এক মহিলাকে ধরার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। তাকে শ্রীরামপুর আদালতেও তোলা হয়। বিচারক মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়। এ দিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিও দেয় ওই তরুণী।