এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে মুহুরিকে সাত বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। বুধবার হুগলির শ্রীরামপুর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক উত্তমকুমার নন্দী বৈদ্যবাটির বাসিন্দা বরুণ অধিকারী ওরফে জামাইকে ওই সাজা শোনান।
পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটির স্নায়ুর রোগ আছে। তার বাবা তেমন কিছু করেন না। মা পরিচারিকার কাজ করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালের ২৮ জুলাই। তখন নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৭ বছর। বরুণ শ্রীরামপুর আদালতে মুহুরির কাজ করত। অন্য দিনের মতো ঘটনার দিনেও ওই কিশোরীর মা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মেয়েটি বাড়িতে একাই ছিল। সন্ধ্যায় মা বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে পাননি। সে কিছুক্ষণ পরে বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়িতে ঢোকে। মাকে জানায়, বরুণ তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম মোটরবাইকে চাপিয়ে চাতরা শীতলাতলা এলাকার গঙ্গার ঘাটে নিয়ে গিয়েছিল। ঘাটের পাশে মহিলাদের কাপড় ছাড়ার ঘরে নিয়ে সে তাকে ধর্ষণ করে।
ওই রাতেই বরুণের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মেয়েটির পরিবারের তরফে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। রাতেই অভিযুক্ত বরুণকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে হাজির করানো বলে বিচারক তাকে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পর থেকে সে আর জামিন পায়নি। নির্যাতিতা আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেয়। মামলার সরকারি আইনজীবী জগৎজ্যোতি রায়চৌধুরী জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। বিচার পর্বে মোট ১২ জন স্বাক্ষ্য দেন। যে ম্যাজিস্ট্রেট মেয়েটির জবানবন্দি নিয়েছিলেন, তিনিও স্বাক্ষ্য দেন। গত ১৯ মে বরুণকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক উত্তমকুমার নন্দী।
এ দিন বিচারক নির্দেশ দেন, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করা ছাড়াও ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। জরিমানার টাকা নির্যাতিতার পরিবারকে দেওয়া হবে। জরিমানা অনাদায়ে আসামীকে আরও ১ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
যুবক ধৃত। মোবাইল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল এক যুবক। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার সুকান্তনগর এলাকায়। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ পূর্বস্থলির বাসিন্দা সঞ্জয় দাস নামে এক যুবক রবীন্দ্রনগর এলাকার দিক থেকে জিটি রোড ধরে হেঁটে আসার সময় খাদিনামোড়ের কাছে সুকান্তনগর এলাকার একটি পানের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকে। তার পরে পাশের একটি দোকানে সোকেসের উপর একটি মোবাইল দেখতে পেয়ে সে পকেটে ভরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা দেখতে পেয়ে তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে। বাসিন্দারা মারধর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।