শিক্ষিকার সাহায্য

কথা দিয়েছিলেন বিয়ের কেনাকাটার খরচের টাকা তাঁদা তুলে দিয়ে দেবেন। নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের হাতে শুধু ওই টাকা দিলেনই না, আঠারো বছর পর্যন্ত পড়াশোনা চালাতে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন শিক্ষিকা মৌমিতা চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:২২
Share:

কথা দিয়েছিলেন বিয়ের কেনাকাটার খরচের টাকা তাঁদা তুলে দিয়ে দেবেন। নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের হাতে শুধু ওই টাকা দিলেনই না, আঠারো বছর পর্যন্ত পড়াশোনা চালাতে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন শিক্ষিকা মৌমিতা চক্রবর্তী। আরামবাগের গৌরহাটি দুর্গাদাস বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ান শিক্ষিকা মৌমিতাদেবী। গত ৩০ জুলাই স্কুলে যাওয়ার পথে তিনি জানতে পারেন, সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের তোড়জোড় চলছে। সোমবার ওই ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আরামবাগের তালপুকুরের এক যুবকের সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হন। স্থানীয় মানুষের আপত্তি উপেক্ষা করে পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনে খবর দেন মৌমিতাদেবী। বিকেলে ব্লক সমাজকল্যাণ আধিকারিক রমেশ সর্দার পুলিশকে নিয়ে গিয়ে পাত্রপক্ষ এবং কন্যাপক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। তখনই আরামবাগের শ্রীপল্লির বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা কথা দেন, বিয়ের কেনাকাটার জন্য খরচ হওয়া টাকা তিনি চাঁদা তুলে দিয়ে দেবেন। শনিবার ১৬ হাজার টাকা মেয়েটির মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘নাবালিকার বিয়ে দেওয়া অন্যায়, পরিবারটি বুঝতে পেরেছেন। ছাত্রীটি নতুন উদ্যমে পড়াশোনায় মন দিয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটির পাশে রয়েছি।’’ ছাত্রীটির প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি পড়াশোনা করতে চাই। দিদিমনি নতুন জীবন দিলেন। মা’ও এখন চাইছেন, আমি পড়াশোনা করি।’’ ওই মেয়েটির মা দিনমজুরি করেন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের বিয়ে দিয়ে খুব ভুল করছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন