Coronavirus in Howrah and Hooghly

করোনায় আক্রান্ত ছিল ডেঙ্গিতে মৃত কিশোর

হাওড়ায় গত বছরই ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সরকারি হিসেবে প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০১:১৫
Share:

হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকার কিংস রোডের বাসিন্দা, ১৭ বছরের ছাত্রের শুধু ডেঙ্গি নয়, করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে। এর জেরে উদ্বেগ বেড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। গত রবিবার সকালে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। বুধবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছনোর পরে জানা যায়, ডেঙ্গির সঙ্গে করোনাতেও আক্রান্ত ছিল সে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা ভেবেছিলাম করোনার জন্য ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত এ বছর হবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে।’’

Advertisement

হাওড়ায় গত বছরই ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সরকারি হিসেবে প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুধু উত্তর হাওড়াতেই জুলাই মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি বাসিন্দার ডেঙ্গি হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর ২২ জুলাই পর্যন্ত হাওড়া পুরসভা এলাকায় ইতিমধ্যে ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের মৃত্যুর পরে জানা যায়, তার ডেঙ্গির চিকিৎসা হচ্ছিল। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষাও হয়েছিল।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে এই সময়ে বিভিন্ন ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপও বাড়বে। এটাই খুব আশঙ্কার।’’

Advertisement

এ দিকে উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার গোপাল পাইন লেনে যে বাড়িতে ওই কিশোর ঠাকুরমার সঙ্গে থাকত এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কিংস রোডের যে বাড়িতে তার বাবা-মা ও অন্য আত্মীয়েরা থাকেন, সেই বাড়িগুলির আশপাশে কোথাও ডেঙ্গির লার্ভা আছে কি না, তা দেখতে পুরসভার দু’টি মশকনিধন বাহিনীকে পাঠানো হয়। দুই এলাকায় ছড়ানো হয় লার্ভিসাইড তেল। এ ছাড়াও, ওই দু’টি বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। করোনা পরীক্ষা করা হবে বাড়ির সব সদস্যের।

পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘জানুয়ারি থেকে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম কাজ করছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজও প্রতি ১৫ দিন অন্তর হচ্ছে। ওই এলাকাগুলিতেও নজরদারি চলেছিল। আগে মশার লার্ভা মেলেনি। এখন তাই ফের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পর্যবেক্ষণ। করোনা ও ডেঙ্গির উপসর্গে মিল থাকায় জ্বর বা গলা ব্যথা হলেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন