এই সেতুই পাকা করার দাবি উঠেছে। ছবি: মোহন দাস
নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রায় ৩১ লক্ষ টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল। অর্থ বরাদ্দ হলেও জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন হয়ে এল সেতু সংস্কারের!
এই ‘বিভ্রান্তি’র জেরে আরামবাগের মায়াপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার কানা নদীর উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজই শুরু হয়নি। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে প্রাপ্ত তহবিল গত আট মাস ধরে পড়ে রয়েছে। প্রকল্পটির নাম সংশোধন নিয়ে জেলা প্রশাসন গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের কাছে প্রকল্পটির নাম সংশোধনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই তা হয়ে যাবে বলে আশা করি।’’ হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) আয়েশা রানি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সরকারি (বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল সংক্রান্ত) নির্দেশিকা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
মায়াপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার কানা নদীর উপর হাটবসন্তপুর এলাকায় একটি সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। কানা নদীর অন্য পাড়ে মায়াপুর-২ পঞ্চায়েতে। দুই পঞ্চায়েত এলাকার খান পাঁচেক গ্রামের মানুষ সেতুর অভাবে দুর্ভোগে পড়েন। গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করেছেন। দুই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রী-সহ গ্রামবাসীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষায় সাঁকো ভেঙে গেলে প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয় অন্য পঞ্চায়েত এলাকায়। বছর ২০ ধরে এখানে একটি সেতুর দাবি করা হচ্ছেয় কিন্তু তা আজও হল না।