চক্রী: নেপু।
ঝরঝরে বাংলা বলতে পারলেও মধ্য ত্রিশের ছেলেটি আদতে নেপালি। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর পরে ২০১৫ সালের অগস্টে সে ধরা পড়ে হিন্দমোটর কারখানার টেস্টিং রোড থেকে। তখন থেকেই হুগলির দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর ‘ডানহাত’ বলে পরিচিত নেপুর গিরির ঠিকানা হুগলি জেল। কিন্তু সংশোধনাগারে থেকেও অপরাধ জগৎ থেকে সে যে সরেনি, তা পুলিশের তদন্তে বারবার ধরা পড়েছে। ২০১৬ সালে সে এই জেলে তাণ্ডব চালিয়েছিল। বুধবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
পুলিশ জানায়, খুন-ডাকাতি-তোলাবাজিতে সিদ্ধহস্ত নেপুর বিরুদ্ধে অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে। হুগলির উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর ছড়াও হাওড়ার বালি, নিশ্চিন্দা, মালিপাঁচঘড়া এবং বর্ধমান জেলার জামালপুর থানাতেও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। জোর করে জমি দখল করারও অভিযোগ রয়েছে নেপুর বিরুদ্ধে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে কয়েক কেজি গাঁজা মিলেছিল।
বাবা এখানে চলে আসায় নেপু অল্প বয়স থেকেই কোন্নগরের ধর্মডাঙ্গা এলাকায় থাকতে শুরু করে। রমেশের ‘ডানহাত’ হলেও একসময়ে জেলার হুব্বা শ্যামলের হাত ধরেই নেপুর উত্থান। শ্যামল খুনের মামলাতেও সে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে জামিন পায়। দন্তকারীরা জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেপুর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে ভয় পান ভুক্তভোগীরা। ফলে, সাক্ষীর অভাবে মামলা দাঁড়ায় না।