রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বাস।—নিজস্ব চিত্র।
বাসস্ট্যান্ড নেই। রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে বাস। ফলে সমস্যায় পড়ছেন পথচারী থেকে যাত্রী সবাই। জয়পুরের ঝিখিরা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই সমস্যা। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তাদের দাবি, ওই এলাকায় বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য দু’টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবহণ দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাস দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার জন্য ঝিখিরা-আমতা রোডের উপরেই হাওড়াগামী বাস ও কিছু ছোট গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। সেই বাসগুলিতে প্রতি দিন প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও নূন্যতম যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা নেই। ছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। শৌচালয় থাকলেও সেটি ব্যবহারের প্রায় অযোগ্য। কাছেই রয়েছে ঝিখিরা বাজার ও স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস। নারায়ণী বালিকা বিদ্যালয়, ঝিখিরা উচ্চ বিদ্যালয়-সহ কয়েক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ওই এলাকা দিয়েই যাতায়াত করেন। ওই রাস্তা দিয়েই ছোট গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে যানজট তৈরি হয়। কখনও কখনও বাস বেরোতেই অনেক সময় লেগে যায়। এলাকার কলেজ ছাত্রী স্মিতা রায়, সৌরভ পালের ক্ষোভ, যানজট টপকে বাস ধরতে গিয়ে আমাদের সমস্যা হয়। কলেজে যেতেও দেরি হয়ে যায়।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ বছর ধরে ঝিখিরা-হাওড়া রুটে বাস চলাচল করছে। এছাড়াও ওই এলাকায় ছোট ম্যাজিক গাড়ি, মোটর চালিত ভ্যান চলে। মুচিঘাটা-করুনাময়ী রুটের বাসগুলিও ঝিখিরার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। হুগলির খানাকুলের বহু মানুষ যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই রুট ব্যবহার করেন। ফলে ঝিখিরার ওই জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির ঝিখিরা এলাকার সদস্য সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা ঝিখিরা স্কুল মাঠ ও পাইবাসা মোড়ের কাছে দু’টি জায়গা চিহ্নিত করে বাসস্ট্যান্ড তৈরির অনুমিতির জন্য পরিবহণ দফতরে পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে। বাসস্ট্যান্ড তৈরি হলে ঝিখিরা থেকে সরাসরি ধর্মতলা অবধি বাস চালাতে আবেদন করা হয়।’’
ঝিখিরা পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণা মেটে জানান, স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকার জন্যই ছাউনি কিংবা ভালো শৌচালয় তৈরি করা হচ্ছে না। জেলা পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, প্রস্তাবটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।