মাইক-ডিজের দাপট, পুলিশ নির্বিকারই

সোমবার সকালে মশাটে চেেখে পড়ল এমনই ছবি। হুগলি জেলার নানা প্রান্তে বছরভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এটাই চেনা ছবি। মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন, ‘শব্দের উৎপাত’কে বাগে আনার কোনও উদ্যোগই নেই প্রশাসনের। অভিযোগ এমনই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০২:০৬
Share:

শব্দদূষণ: মশাটে এই মাইক ও বক্স নিয়েই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

ভ্যানোর উপর চারটি পেল্লাই বক্স। তার উপরে সাজানো খান ত্রিশেক মাইক। গান বাজছে তারস্বরে। ভ্যানোর চালকের কানে তুলো। মাথায় হেলমেট। একটা ভ্যানো নয়। পর পর এমনই বেশ কয়েকটি ভ্যানো যাচ্ছিল মশাট-জগৎবল্লভপুর রোড ধরে। পাশ কাটিয়ে যেতে দেখা গেল পুলিশ গাড়িকেও।

Advertisement

সোমবার সকালে মশাটে চেেখে পড়ল এমনই ছবি। হুগলি জেলার নানা প্রান্তে বছরভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এটাই চেনা ছবি। মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন, ‘শব্দের উৎপাত’কে বাগে আনার কোনও উদ্যোগই নেই প্রশাসনের। অভিযোগ এমনই।

এই জেলাতেই দীপাবলির সময় শব্দবাজির দাপট বন্ধের দাবিতে পথে নামে শ্রীরামপুরের ‘শব্দদূষণ বিরোধী নাগরিক উদ্যোগ’। বছরের বাকি সময় সে ভাবে আন্দোলন হয় না। ওই সংগঠনের তরফে গৌতম সরকার ব‌লেন, ‘‘চাকদহ পুরসভায় ডিজে বক্স বাজানো নিষিদ্ধ হয়েছে। সেই উদাহরণকে সামনে রেখে হুগলির বিভিন্ন পুরসভায় একই আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার, বিশ্ব পরিবেশ দিবস থেকেই কাজ শুরু হবে।’’ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, ‘‘মাইক-ডিজে বক্সের দৌলতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটা তাদের অকর্মণ্যতা।’’ পুলিশ কর্তারা অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement