বইমেলায় দেহদানের অঙ্গীকার

বৃহস্পতিবার থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টল করে মরণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদানের আবেদন জমা নিতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দেহদানের অঙ্গিকারটি করেন বছর চল্লিশের সমুদ্রগুপ্ত নন্দী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৯
Share:

অনুষ্ঠান: বইমেলায় পুলিশের আয়োজনে হল বসে আঁকো। নিজস্ব চিত্র

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পান্ডুয়া বইমেলা চত্বরে চলছে মরণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদানের প্রচার।

Advertisement

হুগলির পান্ডুয়া বইমেলা শুরু হয়েছিল ৭ জানুয়ারি থেকে। আজ, রবিবার তার শেষ দিন। বৃহস্পতিবার থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টল করে মরণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদানের আবেদন জমা নিতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দেহদানের অঙ্গিকারটি করেন বছর চল্লিশের সমুদ্রগুপ্ত নন্দী। তারপর সেই সংখ্যাটা বাড়তে শুরু করে। শনিবার রাত পর্যন্ত পান্ডুয়া বইমেলায় এসে ৭ জন চক্ষুদান ও ৬ জন দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। আয়োজকদের আশা, আজ রবিবার বইমেলার শেষ দিন সংখ্যাটা আরও বাড়বে।

এ বার বইমেলায় এসে যাতে মানুষ বই কেনেন তার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে মেলা কমিটি। হাজার টাকার উপরে বই কিনলেই মিলছে পুরস্কার। ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে রাত পর্যন্ত বইয়ের স্টলগুলিতে ভিড় দেখা গিয়েছে। হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের স্টল থেকে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচার চলছে। আজ, শনিবার পুলিশের পক্ষ থেকে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আঁকার বিষয় ছিল— ‘পথ নিরাপত্তা’। যোগ দিয়েছিল ৬০ জন। বইমেলা কমিটির সভাপতি জামালউদ্দিন আহমেদের কথায়, ‘‘সমাজের সব স্তরের মানুষ বইমেলায় আসুন, এটাই চাই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement