তেহট্ট-তেঁতুলবেড়িয়ায় রাজাপুর খালের উপরে বাঁশের সাঁকো। ছবি: সুব্রত জানা।
এলাকার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে রাজাপুর খাল। তার উপরে একখানি বাঁশের সাঁকো। তবে সাঁকো বললে ভুল হবে। কারণ, খালের উপরে শুধুমাত্র কয়েকটি বাঁশ ফেলা। মাঝে কয়েকটি বাঁশের খুঁটি লাগানো। ওই সাঁকোয় একজন উঠলেই নড়বড় করে। ধরে হাঁটার ব্যবস্থা নেই। যে কোনও সময় ঘটে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
কিন্তু উপায় নেই। এই অবস্থায় পাঁচলার জলা বিশ্বনাথপুর এলাকার তেঁতুলবেড়িয়া-সহ কয়েকটি এলাকার হাজার খানেক লোক ওই সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করছেন। রোজ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় পড়ুয়াদের। অথচ পঞ্চায়েত বা সেচ দফতরের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাঁকো দিয়ে পাঁচলার তেঁতুলবেড়িয়া, উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের তেহট্ট-কাঁটাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের লোকজন যাতায়াত করেন। তেঁতুলবেড়িয়ার লোকেরা তেহট্ট বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় যান। নানা কাজে তেহট্টের লোকেরাও তেঁতুলবেড়িয়ায় আসেন। ছাত্রছাত্রীরাও যায় তেহট্ট রথতলা হাইস্কুলে। তবে কয়েক কিলোমিটার দূরে লায়েকপাড়া এলাকায় একটি পাকা সেতু রয়েছে। কিন্তু ওই পথে যাতায়াত করলে লোকেদের মিনিট কুড়ির বেশি পথ যেতে হয়। তাই একটু ‘শর্টকার্টে’ রাস্তা হওয়ার জন্য লোকেরা সাঁকোটি নিজেরাই তৈরি করেছেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, ওখানে একটা পাকাপোক্ত সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হোক। কারণ, অন্য সময় খালে যা স্রোত থাকে বৃষ্টি হলে স্বাভাবিক ভাবে তা বাড়বেই। বৃষ্টির জল সাঁকোর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ফলে সেই সময় সাঁকো দিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক।
তেঁতুলবেডিয়ার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কোয়েল দাসের কথায়, ‘‘সাঁকো দিয়ে যেতে খুব ভয় লাগে। তবুও যেতে হয়। না হলে স্কুল যেতে গেলে অনেকটা হাঁটতে হবে।’’ একই বক্তব্য, তেঁতুলবেড়িয়ার বাসিন্দা বিভাস দাস, তেহট্টের দেবাশিস মণ্ডল, সোমনাথ জাসুদের। তাঁদের দাবি, এখানে অন্তত একটা পাকা সেতু না হলেও কাঠের সেতু করুক প্রশাসন। জলা বিশ্বনাথপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা বেগম মোল্লা বলেন, ‘‘সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলব। এখানে একটা কাঠের সেতু তৈরি করা যায় কি না সেটা দেখব।’’