খানাকুলে কলেজের সামনেই হানাহানি, পতাকা ছেঁড়া নিয়ে পস্পরকে দুষছে দু’পক্ষ

মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস ঘটনাস্থলে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০২:২৮
Share:

অশান্ত: কলেজের সামনে মোতায়েন হয়েছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

এবিভিপি-র অভিযোগ, কলেজ চত্বরে সংগঠনের পতাকা ছিঁড়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। টিএমসিপি-রও পাল্টা অভিযোগ একই। আর এ নিয়ে সোমবার দুপুরে খানাকুলের রাজা রামমোহন রায় কলেজের মূল ফটকের বাইরে কোদালের বাঁট এবং বাঁশের মুগুর নিয়ে দফায় দফায় মারমারিতে জড়াল দু’পক্ষ। তাতে চার ছাত্র আহত হন। তাঁদের খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা হয়।

Advertisement

মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস ঘটনাস্থলে যান। এসডিপিও বলেন, “গোলামালের সঙ্গে যুক্ত এবিভিপি-র চার জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” কলেজের অধ্যক্ষ জীবন পাল বলেন, “কলেজ চত্বরে কোনও ঘটনা ঘটেনি। কলেজ চত্বরে পতাকা ছেঁড়া নিয়ে দু’পক্ষেরই অভিযোগ ছিল। এ বার থেকে কোনও ছাত্র সংগঠনেরই পতাকা কলেজে টাঙানো যাবে না বলে এ দিনই নোটিস জারি করেছি।”

পুলিশ এবং কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কলেজের মূল ফটকের কাছে বিজেপি ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র কিছু পতাকা ছেঁড়া দেখা যায়। এ নিয়ে ওই ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা টিএমসিপি-র ছেলেদের সঙ্গে বচসায় জড়ায়। তা নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগও জানায় এবিভিপি। অভিযোগ, অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসার পর দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজের মূল ফটকের বাইরে টিএমসিপির শেখ মুন এবং সাকিমকে এবিভিপি-র ছেলেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই খবর পেয়ে টিএমসিপি-র ছেলেরা পাল্টা তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রভাস মাইতি এবং দ্বিতীয় বর্ষের সন্তু দলুইকে মারধর করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ কোদালের বাঁট এবং বাঁশের মুগুর হাতে নিয়ে দু’পক্ষকে কলেজের বাইরে একে অপরকে তাড়া করতে দেখা যায়।

Advertisement

জেলা টিএমসিপি-র সাধারণ সম্পাদক শেখ হায়দার আলির অভিযোগ, “এবিভিপি বাইরে থেকে ছেলে এনে কলেজ চত্বরে এসে আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে। শিক্ষাক্ষেত্র অশান্ত করতে করতে চাইছে।” বিকেলে সংগঠনের জেলা সভাপতি গোপাল রায় আহত ছাত্রদের দেখতে যান। অভিযোগ উড়িয়ে এবিভিপি-র জেলা সম্পাদক ধর্মদাস বৌরির দাবি, “আমাদের সংগঠনের পতাকা ছেঁড়ায় ছেলেরা অধ্যক্ষর কাছে অভিযোগ জানান। আমাদের তরফে কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলই বাইরে থেকে ছেলে এনে ঝামেলা করল। তাতে মদত দিল পুলিশ। আমাদের ছেলেরা মার খেল। তাদেরই আটক করা হল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন