উত্তরপাড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর সাসপেন্ড 

শুক্রবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মহাকরণে উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদবকে পাশে নিয়ে বলেন, ‘‘সুমিত চক্রবর্তী যে কাজ করেছেন, দল তা সমর্থন করে না। দলনেত্রীও ক্ষুব্ধ। দলের নিয়ম, মানুষের সুবিধা দেখা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৬
Share:

বদল: বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের সঙ্গে সুমিত । ফাইল ছবি

নবমীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় একটি ক্লাবে তাণ্ডব চালানোয় অভিযুক্ত উত্তরপাড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত চক্রবর্তী ওরফে টুকাইকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল সুমিত পুরসভার জল বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

Advertisement

শুক্রবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মহাকরণে উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদবকে পাশে নিয়ে বলেন, ‘‘সুমিত চক্রবর্তী যে কাজ করেছেন, দল তা সমর্থন করে না। দলনেত্রীও ক্ষুব্ধ। দলের নিয়ম, মানুষের সুবিধা দেখা। এই ঔদ্ধত্য, বাড়বাড়ন্ত দল পছন্দ করে না। তাই সুমিত চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করা হল। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। দলের জেলা নেতৃত্বের থেকে শোকজ করে চিঠি চাওয়া হয়েছে।’’ পুরসভার জল বিভাগের দায়িত্ব দিলীপবাবুই সামলাবেন বলেও পুরমন্ত্রী জানান।

দল থেকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সুমিতবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘দল আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ নিয়ে যা বলার, আমি শীঘ্রই দলকে জানাব।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘দলনেত্রী ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানোর পরই ওই কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর জন্য দলের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপরই দল ব্যবস্থা নিল।’’

Advertisement

উত্তরপাড়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর নবমীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় মোটরবাইকে চড়ে দলবল জুটিয়ে একটি পুজো মণ্ডপে তাণ্ডব চালান বলে অভিযোগ। পরের দিন সকাল হতেই শহর জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ওই কাউন্সিলরের অভব্য আচরণের প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ পথে নামেন। উত্তরপাড়া হাসপাতালের কাছে তাণ্ডবে জড়িতদের গ্রেফতার ও পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবিতে পথ অবরোধ হয়। থানায় সুমিতবাবু এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়। ওইদিনই রাস্তায় ওই কাউন্সিলরকে হাতের সামনে পেয়ে স্থানীয় মানুষজন মারধর করেন। কাউন্সিলরের তরফে এ নিয়ে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে তার এলাকা লাগোয়া ওই পুজো কমিটির বিবাদ চলছিল। তার জেরেই তাণ্ডব। দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করা বলেও ওই কাউন্সিলরকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। সুমিতের দাদাগিরি নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ নতুন নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় প্রায়ই তাণ্ডব চালান তিনি। আগেও উত্তরপাড়ায় শাসকদলেরই পুরনো কর্মী কালাচাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলবল নিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল ওই কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়েও তখন দল রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়েছিল। সেই সময় দলের তরফে তাঁকে সমঝে দেওয়া হয়। এ বার ব্যবস্থা নেওয়া হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement