উঠে এল গোষ্ঠীকোন্দল

তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার তিন

দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ চণ্ডীতলায় ভগবতীপুর বাজারে হুগলি জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আসফার হুসেনকে প্রথমে গুলি করে ও পরে চপার দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৪
Share:

আদালতের পথে ধৃতেরা।

দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ চণ্ডীতলায় ভগবতীপুর বাজারে হুগলি জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আসফার হুসেনকে প্রথমে গুলি করে ও পরে চপার দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজিও করে। রাতেই আসফারকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, গুলি আসফারের বুকের ডান দিকের পাঁজরে লাগে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ওই রাতেই শ্রীরামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। হুগলির পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

আহত আসফার হুসেন।

Advertisement

আসফার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের আক্ষেপ, ‘দলনেত্রী বারে বারেই নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল থেকে বিরত হওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু নেতাদের কানে তা ঢুকছে কই’? আসফারের মতো ডাকাবুকো নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে দলের যত বড় নেতা-নেত্রীই থাকুন, তাঁদের গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এলাকায় উত্তজেনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভগবতীপুর বাজার এলাকায় ছিল কার্যত বনধে্র চেহারা।

শুধু সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরা নন, গুলিবিদ্ধ নেতার পরিবারের তরফেও গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করা হয়েছে ঘটনার জন্য। আসফারের দাদা মোশাররফ হোসেনের অভিযোগ, ‘‘পার্টির ভিতর দ্বন্দ্বের কারণেই ভাইকে গুলি খেতে হল। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের ডাকে সাড়া দিয়ে এলাকায় ভাল কাজ করছে ভাই। তাই জনপ্রিয়তায় ভাইয়ের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে এঁটে উঠতে না পেরে এইভাবে ভাইকে পিছন থেকে মারার চেষ্টা হল।’’

হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান অবশ্য বলেন, ‘‘আসফারকে এখন দ্রুত সুস্থ করে তোলাটাই জরুরি। দলের তরফে সেই চেষ্টাই হচ্ছে। এখন রাজনীতির কোনও কথা নয়।’’

ছবি: দীপঙ্কর দে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন