প্রতিবাদ: বিডিও অফিসে বিক্ষোভ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে জনা দশ বিজেপি নেতা-কর্মীর টাকা পাওয়া নিয়ে হুগলি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন গোঘাট বিধায়ক। সোমবার দুপুরে সেই একই অভিযোগে দলের কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসে বিক্ষোভ-অবস্থান করলেন। ওই উপভোক্তাদের নাম বাতিল করা করার দাবিতে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হল।
গোঘাট-২ বিডিও অরিজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি ঊর্ধ্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই এই বিষয়টি সমাধান করা হবে।’’
গোঘাট-২ ব্লকের বদনগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মানসবাবুর অভিযোগ ছিল, “প্রকল্পের মাপকাঠি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে যাঁদের ঘর পাওয়ার কথা নয়, তেমনই ১০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।’’ বিধায়কের দাবি ছিল, প্রশাসনের এই ভূমিকায় গোঘাট বিধানসভা এলাকায় রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছ।
বিক্ষোভে সামিল গ্রামবাসীদের পক্ষে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি জগবন্ধু গিরি বলেন,‘‘ বিজেপির কিছু লোক রাজ্য সরকার এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মিথ্যা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে প্রকল্পের সুবিধা আদায় করেছেন। সেই কাজে সাহায্য করেছে একটি মানবাধিকার সংস্থা। সুবিধা বাতিল করার পাশাপাশি ওই সংস্থার সভাপতি সঙ্গীতা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে।’’
সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি সভাপতি সঙ্গীতাদেবীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘মানসবাবু জনপ্রতিনিধি হয়ে অনুচিত কাজ করছেন। যেখানে প্রশাসন উপযুক্ত বিবেচনা করে বাড়ি তৈরির টাকা দিয়েছে, সেখানে জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কী করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কাজ করলেন?’’ তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘অন্য দলের কি কোনও উপযুক্ত উপভোক্তা থাকতে পারেন না? তাহলে এই প্রতিবাদ কিসের?’’
জেলা প্রশাসন এবং ব্লক প্রশাসন থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কোওন প্রশ্ন নেই। প্রকল্পের মাপকাঠি অনুযায়ী ঠিক উপভোক্তাদেরই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।